হার্টবিট ডেস্ক
‘শব্দদূষণের রোগী এখন ঘরে ঘরে। এখনই তার প্রতিকার জরুরি। রাত এবং দিনের শব্দের মাত্রার তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে সবাইকে গণহারে সচেতন করতে হবে। একইসঙ্গে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকেও শব্দদূষণকারীকে পরিবেশ আইন প্রয়োগ করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।’
বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) এবং ই কিউ এম এস কনসাল্টিং লিমিটেডের সহযোগিতায় আয়োজিত ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের সভা কক্ষে ‘শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্প’ এর আওতায় গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রকল্পের জরিপ কার্যক্রমের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যায়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার। অনুষ্ঠানে প্রকল্প সম্পর্কে সার্বিক ধারণা দেন ক্যাপস এর গবেষনা পরিচালক ও স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের প্রভাষক আবদুল্লাহ আল নাঈম।
ক্যাপসের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরিবেশ বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ে আওতাধীন পরিবেশ অধিদফতরের আওতায় বাস্তবায়নাধীন শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে দেশের প্রতিটি জেলা শহরে শব্দ মাত্রা পরিমাপের বিষয়ে সমীক্ষা ও সচেতনতামূলক মতবিনিময় সভায় ফরিদপুর জেলা পরিবেশ কার্যালয়ের উপ-পরিচালক এ এইচ এম রাশেদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক দীপক কুমার রায়। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন— ফরিদপুরের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাক্তার শাহ মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা, ফরিদপুর জেলার সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আসাদুর রহমানসহ আরও অনেকে।
বক্তারা বলেন, শব্দ দূষণের রোগী এখন ঘরে ঘরে। বিশেষ করে যারা হার্ট অ্যাটাকের রোগী তারা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে শব্দ দূষণের কারণে। এই কারণে মাথাব্যথা, কানে কম শোনাসহ নানা রোগের উদ্রেক হয়। শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে পরিবেশ আইন যদি এখনই প্রয়োগ করে এর নিয়ন্ত্রণ না করা যায়, তাহলে এর ভয়াবহতা অনেক বেশি পরিমাণে মুখোমুখি হতে হবে। মানুষকে অনেক বেশি ভোগান্তি পোহাতে হবে। তারা আরও বলেন, শব্দের মাত্রা বেশি হলে পুলিশের মাধ্যমে তা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। হাইড্রোলিক হর্ন, আতশবাজি— এগুলো সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে হবে এবং একইসঙ্গে অযথা হর্ন বাজানো নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। বক্তারা আরও বলেন, গাড়িচালকদেরকে সচেতন করতে হবে, উচ্চহারে গান-বাজনা শব্দ নিয়ন্ত্রণের জন্য সাধারণ মানুষকে আগে সচেতন করতে হবে। রাত এবং দিনের শব্দ তুলনা করে সচেতন করার বিষয়টি বিবেচনায় আনা জরুরি।
Discussion about this post