হার্টবিট ডেস্ক
ছোট-বড় সবারই পছন্দের একটি ফল টক-মিষ্টি স্বাদের কুল। ভিটামিন, ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ কুল স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারি। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি স্নায়ু এবং হাড়ের ক্ষেত্রেও অত্যন্ত উপকারী।
এছাড়াও কুল খেলে যেসব উপকারিতা পাওয়া যায়-
রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে : কুল পটাসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন এবং জিঙ্ক সমৃদ্ধ। এই খনিজগুলি হৃৎপিণ্ড ভালো রাখতে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আয়রন হিমোগ্লোবিনের সংখ্যা বাড়াতেও সহায়তা করে, যা রক্তাস্বল্পতা প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।
ত্বককে উজ্জ্বল করে : অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ কুল ত্বককে উজ্জ্বল করে। বার্ধক্যের লক্ষণগুলি দূর করতেও সহায়তা করে। কুলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রি ব়্যাডিক্যালের সাথে লড়াই করে এবং কোষের ক্ষতি প্রতিরোধ করে। এছাড়া ভিটামিন সি ত্বককে স্বাস্থ্যকর ও ব্রণ মুক্ত রাখে, পাশাপাশি ত্বক উজ্জ্বল করে তোলে।
হাড় সুস্থ রাখতে সহায়তা করে : হাড়কে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে শুকনো কুল। এটি ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাসের দুর্দান্ত উৎস। এসব উপাদান হাড়ের ঘনত্ব বজায় রাখতে সহায়তা করে। কুল আর্থ্রাইটিসের রোগীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কুলে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান অস্থিসন্ধির ফোলাভাব এবং যন্ত্রণা কমাতে সহায়তা করে।
হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে : ফাইবার এবং কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ কুল হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এই ফল শক্তির বড় উৎস, যা বিপাকক্রিয়া বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। বিভিন্ন ধরনের খনিজ এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ হওয়ায় কুল অত্যন্ত পুষ্টিকর। ডায়েটরি ফাইবার থাকায় কুল হজম করা সহজ। কুল কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়েও সহায়তা করে। তাছাড়া কুল দীর্ঘস্থায়ী গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা থেকেও স্বস্তি দিতে সক্ষম।
ভালো ঘুম হতে সহায়তা করে : প্রাচীন চীনা ঐতিহ্য অনুসারে, কুল অনিদ্রার সমস্যা নিরাময় করতে সহায়তা করে। বীজসহ পুরো ফলটাই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফাইটোকেমিক্যাল, পলিস্যাকারাইড, ফ্ল্যাভোনয়েড, স্যাপোনিন সমৃদ্ধ। যার মধ্যে উপশমকারী গুণ বর্তমান। কুল স্নায়ুকে শান্ত করে, মন ও শরীরকে শিথিল করে, এবং ভালো ঘুম হতে সহায়তা করে।
উদ্বেগ কমাতে সহায়তা করে : কুল মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুতন্ত্রকে শান্ত করতে সহায়তা করে। তাছাড়া এটি উদ্বেগ কমাতেও অত্যন্ত সহায়ক। এছাড়া, কুল হরমোনের মাত্রা ঠিক রাখতেও সাহায্য করে এবং মন ও শরীরকে শান্ত করে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে : কুলে লবণের পরিমাণ কম এবং পটাসিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকায় এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। পটাসিয়াম রক্তনালীকে শিথিল রাখতে সহায়ক। আর রক্তনালী শিথিল হলে রক্ত প্রবাহ সহজ হয়।
Discussion about this post