হার্টবিট ডেস্ক
করোনাভাইরাসের অতিসংক্রামক ধরন অমিক্রনের একটি উপধরন বিএ.২ নিয়ে দুশ্চিন্তার কথা জানালেন গবেষকেরা। ওমিক্রনের এই রূপ আরেকটি করোনা-ঢেউ নিয়ে আসতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞরা।
গবেষকরা বলছেন, এই উপধরন করোনার অন্য ধরনের চেয়েও দ্রুত ছড়ায়। এটি গুরুতর অসুস্থতার কারণও হতে পারে। এই উপধরন ঠেকাতে বর্তমান অমিক্রনের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ কার্যকর না-ও হতে পারে। জাপানের পরীক্ষাগারে করা নতুন এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।
অতি দ্রুত বাড়ছে ওমিক্রনের এই নতুন রূপের সংক্রমণ। ইংল্যান্ড, ডেনমার্ক, দক্ষিণ আফ্রিকা-সহ নানা দেশে বাড়ছে ওমিক্রনের এই নতুন রূপটি। গত এক সপ্তাহের মধ্যে ১ কোটি ৬০ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন কোভিডে। এর মধ্যে বড় অংশই ওমিক্রনের নতুন রূপে সংক্রমিত হয়ে থাকতে পারেন বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিএ.২ উপধরনটিতে এমন কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা ডেলটাসহ করোনার পুরোনো ধরনগুলোর মতো রোগীদের গুরুতর অসুস্থ করে ফেলতে পারে। অমিক্রনের মতো এই উপধরন টিকাদান থেকে তৈরি রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থাকেও ফাঁকি দিতে পারে। তবে আশার কথা, বুস্টার ডোজ এ ক্ষেত্রে কাজে দিতে পারে। বুস্টার নিলে আক্রান্ত ব্যক্তির অসুস্থতা ৭৪ শতাংশ কম হতে পারে।
গবেষণা পরিচালনা করেন জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক কেই সাটো। তিনি বলেন, বিএ.২ উপধরনটিকে অমিক্রনের একটি সাধারণ ধরন হিসেবে মনে করা ঠিক হবে না। এটি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। সিএনএনকে তিনি আরও বলেন, বিএ.২ উপধরনটিকে ছদ্মবেশী অমিক্রন বলা যেতে পারে। কারণ, এটি পিসিআর টেস্টে ধরা পড়ে না। এটি শনাক্তে বাড়তি পদক্ষেপ নিতে হয়।
গবেষকেরা মনে করছেন, অমিক্রনের চেয়েও এর উপধরন বিএ.২টি ৩০-৫০ শতাংশ বেশি সংক্রামক। এটি বিশ্বের ৭৪টি দেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭টি রাজ্যে পাওয়া গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের রোগ প্রতিরোধ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ বিভাগের ধারণা, কোভিড-১৯ আক্রান্ত আমেরিকানদের প্রায় ৪ শতাংশ বিএ.২ সংক্রমণে আক্রান্ত। তবে বিশ্বের অন্য দেশে ধরনটির সংক্রমণ বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাপ্তাহিক তথ্যানুযায়ী, বিশ্বের ১০টির অধিক দেশে এখন বিএ.২ ধরনটির সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি। এ তালিকায় শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ, ব্রুনেই, চীন, ডেনমার্ক, গুয়াম, ভারত, মন্টেনিগ্রো, নেপাল, পাকিস্তান ও ফিলিপাইন।
Discussion about this post