হার্টবিট ডেস্ক
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের ৮ জন জুনিয়র কনসালটেন্টকে একযোগে বদলি করা হয়েছে।
দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম এ হাসপাতালটিতে রোগীর তুলনায় চিকিৎসক সংকটের মধ্যে এ বদলির আদেশ নতুন করে শঙ্কা সৃষ্টি করেছে।
সাধারণ নাগরিকরা মনে করছেন, এতে করে এ হাসপাতাল থেকে প্রদত্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা আরো ব্যাহত হবে।
এদিকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ওই প্রজ্ঞাপনে বরিশাল জেনারেল হাসপাতাল এবং পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজের একজন করে মোট দু’জন চিকিৎসককেও বদলি করা হয়েছে।
ফলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপ-সচিব এ.এফ.এম এহতেশামুল হক স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং বরিশাল জেনারেল হাসপাতালের মোট ১০ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে বদলির আদেশ দেওয়া হয়। এদেরকে ১৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হয়।
বদলি করা চিকিৎসকরা হলেন অর্থ-সার্জারি বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মো. মাসরেফুল ইসলাম সৈকত ও গাইনি বিভাগের ডা. তানিয়া আফরোজকে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে, অর্থপেডিক্স বিভাগের ডা. সুদীপ্ত কুমার হালদারকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে, ইএনটি বিভাগের ডা. আলী আহমেদকে পিরোজপুর জেলা সদর হাসপাতালে, ডা. মো. আব্দুল্লাহ্ আল মামুনকে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মো. জহিরুল ইসলামকে ভোলার ১২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতাল, শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ইএনটি বিভাগের ডা. মো. শরিফুল ইসলামকে পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, বরিশাল জেনারেল হাসপাতালের ডা. সঞ্জয় কুমার দাসকে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের ডা. জয় জাখারিয়া রবকে পটুয়াখালী জেলা সদর হাসপাতালে এবং সার্জারি বিভাগের ডা. মো. সুপিয়ার রহমানকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে বদলি করা হয়েছে।
শেবাচিম হাসপাতালের প্রশাসনিক বিভাগ জানিয়েছে, মোট পদের বিপরীতে ৪৫ ভাগ চিকিৎসকের পদ শূন্য রয়েছে। এসব পদে চিকিৎসক পদায়নের জন্য দীর্ঘদিন ধরেই মন্ত্রণালয়ে চিঠি চালাচালি করে আসছে।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ.এম সাইফুল ইসলাম জানান, আগে থেকেই শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসক সংকট চলছিল। দক্ষিণাঞ্চলের সকল উপজেলার রোগীই এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসায় একসঙ্গে ৮ জন চিকিৎসকের বদলি নতুন করে সংকটে ফেলতে পারে বলেও মনে করেন তিনি।
পরিচালক বলেন, হাসপাতালে সংকটের বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে কথা বলছি। তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
Discussion about this post