হার্টবিট ডেস্ক
করোনাভাইরাসের শনাক্ত চলমান থাকলেও দেশে মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে গত তিনদিনে নতুন করে কারও আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
আজ শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সারাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের নিয়মিত ডেঙ্গু বিষয়ক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানা গেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য ইউনিটের (এমআইএস) ইনচার্জ ডা. মুহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ওই প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, বর্তমানে দেশের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট তিনজন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রয়েছেন। তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে দুইজন এবং ঢাকার বাইরে হাসপাতালে একজন চিকিৎসা নিচ্ছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। একই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন সর্বমোট ১৪২ জন। আর সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১৩৯ জন।
উল্লেখ্য, ২০০০ সাল থেকে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যু নিয়ে বছরভিত্তিক তথ্য রাখছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০০০ সালে ডেঙ্গুতে মারা গিয়েছিল ৯৩ জন। এর পরের দুই বছর যথাক্রমে ৪৪ ও ৫৮ জন মারা যায়। ২০০৭ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত টানা চার বছর ডেঙ্গুতে কেউ মারা যায়নি।
২০১৯ সালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা এর আগের সব বছরের রেকর্ড ছাড়ায়। গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে ডেঙ্গু জ্বরে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। আক্রান্ত হয়েছিল এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। তবে সে বছর সরকারি হিসাবে মৃতের সংখ্যা ছিল ১৭৯।
২০২০ সালে ডেঙ্গুর প্রকোপ কিছুটা কম ছিল। সে বছর এক হাজার ৪০৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হন। ডেঙ্গু সন্দেহে ১২ জনের মৃত্যুর তথ্য আইইডিসিআরে পাঠানো হয়। এর মধ্যে ডেঙ্গুর কারণে সাত জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
আর ২০২১ সালে মশাবাহিত ভাইরাসজনিত এ রোগে মৃত্যু ঘটেছে ১০৫ জনের এবং আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন।
Discussion about this post