হার্টবিট ডেস্ক
ডায়াবেটিস তিন প্রকার- টাইপ ১ ডায়াবেটিস , টাইপ ২ ডায়াবেটিস এবং জেস্টেশনল ডায়াবেটিস (গর্ভবতী মহিলাদের ব্লাড সুগার)। টাইপ ২ ডায়াবিটিসের ক্ষেত্রে খাবারের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কয়েকটি খাবারের জিআই স্তর এতটাই বেশি যে শরীরে গ্লুকোজ বাড়িয়ে দেয়। জিআই হচ্ছে খাবারে কার্বোহাইড্রেট ও গ্লুকোজের পরিমাণ। মধুমেহ রোধে দাওয়াই হতে পারে বেদানার রস। এতে জিআই অনেক কম।
পুষ্টিবিদ রব হবসন জানিয়েছেন, মাত্র ৩ ঘণ্টায় রক্তে সুগারের মাত্রা কমিয়ে দেয় বেদানার রস। তার মতে, বেদানার রসে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট পাওয়া যায়। তা গ্রিনটির থেকেও বেশি। হবসনের কথায়, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে সাধারণভাবে থাকে ফ্ল্যাভোনয়েডস। এছাড়াও আরও অনেক জিনিস রয়েছে। এন্থোসায়নিনের কারণে বেদানার রং গাঢ় লাল হয়। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট মধুমেহ রুখে দেয়। প্রভাব ফেলে ইনসুলিন স্তরে।
হবসন জানান, দিনে এক গ্লাস করে বেদানার রস পান করা উচিত। তা শরীরে জন্য অত্যন্ত উপকারী। ডায়াবেটিসের ওষুধ মেটফরমিনের সঙ্গেও খেতে পারেন বেদানার রস। তবে এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াটা জরুরি।
একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, বেদানার রস শরীরে সুগারের মাত্রা কমিয়ে দিতে সক্ষম। নমুনা পরীক্ষায় ১২ ঘণ্টা না খাইয়ে রাখা হয়েছিল ৮৫ ডায়াবেটিস রোগীকে। তারপর ১.৫ মিলি বেদানার রস খাওয়ানো হয়। ৩ ঘণ্টা পরে রক্ত পরীক্ষা করা হয়। দেখা যায় সুগারের মাত্রা কমে গিয়েছে।
অন্য একটি গবেষণা বলছে, বেদানার রস মধুমেহ রোগীদের ইনসুলিনের প্রতিরোধ ব্যবস্থা শুরু হওয়ার বিপদ কমিয়ে দিতে পারে।
হবসন জানান, ইনসুলিন প্রতিরোধ ব্যবস্থা শুরু হলে মাংসপেশী ও লিভারে কোষ রক্ত থেকে গ্লুকোজ সংগ্রহ করতে পারে না। রক্তে গ্লুকোজ জমা হলে বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। শরীরের কোষগুলো শুকিয়ে যায়। এজন্য বেদানার রস অত্যন্ত উপকারী।
Discussion about this post