হার্টবিট ডেস্ক
চট্টগ্রামের সাউদার্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের আইসিইউতে দায়িত্বরত ছিলেন তরুণ চিকিৎসক ডা. সামিনা আক্তার। কিন্তু মঙ্গলবার এক সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে তিনি নিজেই এখন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে।
ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি চট্টগ্রামের (ইউএসটিসি) ৫ম ব্যাচের এমবিবিএস এর ছাত্রী ছিলেন সামিনা। মঙ্গলবার রাতে রিকশায় করে চট্টগ্রাম মহানগরীর মেহেদীবাগ এলাকায় নিজের বাসায় ফিরছিলেন। রাত ৯টার দিকে কাজির দেউড়ি এলাকায় তার রিকশাকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ধাক্কা দিলে তিনি গুরুতর আহত হন।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করার পর তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়।
সামিনার গ্রামের বাড়ি ফেনী। মেহেদীবাগে পরিবার নিয়ে থাকতেন তিনি। তার স্বামী মীর ওয়াজেদ আলীও একজন চিকিৎসক। তাদের এক মেয়ে ও এক ছেলে। মেয়ে রাফা ওয়ালিয়াহ নবম শ্রেণিতে ও ছেলে মীর ওয়ালিফ সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে।
সামিনার সহপাঠীরা বলেন, তাকে প্রথম যখন ভর্তি করানো হয়, তখন বিপিও কাউন্ট করা যায়নি। দুপুরের দিকে বিপি কাউন্ট করা যাচ্ছে। তবে অবস্থা খারাপ। বর্তমানে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।
চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান জানান, সামিনা আক্তারের স্বাস্থ্যের অবস্থা ভালো না। ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হচ্ছে।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দিন বলেন, সিএনজি অটোরিকশা ও চালককে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
Discussion about this post