হার্টবিট ডেস্ক
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধক টিকার প্রথম ডোজ নিতে এখন থেকে রেজিস্ট্রেশন বা জন্ম নিবন্ধন প্রয়োজন হবে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর (এমএনসিএএইচ অ্যান্ড পিএইচসি) ডা. শামসুল ইসলাম।
আজ বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
ডা. শামসুল ইসলাম বলেন, ২৬ ফেব্রুয়ারি শেষদিন প্রথম ডোজের টিকাদানের জন্য বড় ধরনের ক্যাম্পেইন হবে। একদিনে এক কোটি মানুষকে সফলভাবে টিকাদানের জন্য অতিরিক্ত জনবল নিয়োগ করা হচ্ছে। ১২ বছরের বেশি বয়সী মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ অর্থাৎ ১২ কোটি মানুষকে টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যেই টিকাদান কর্মসূচি জোরদার করা হচ্ছে। ১২ বছরের বেশী বয়সী দেশের ৭০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যে টিকাদান কর্মসূচি জোরদার করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ২৬ ফেব্রুয়ারি ইউনিয়ন পর্যায়ে তিনটি করে কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। প্রতিটি উপজেলার হাসপাতালে নির্ধারিত যে টিকা কেন্দ্র রয়েছে, তার বাইরে অতিরিক্ত পাঁচটি করে মোবাইল টিম থাকবে। জেলা পর্যায়ে নির্ধারিত টিকাকেন্দ্র ছাড়াও ২০টি করে অতিরিক্ত মোবাইল টিম থাকবে। এছাড়া ওয়ার্ড পর্যায়ে তিনটি করে টিম কাজ করবে।
ডা. শামসুল ইসলাম বলেন, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি এবং গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রতিটি জোনে ৩০টি করে অতিরিক্ত টিম থাকবে। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রতিটি জোনে ৪০টি, বরিশাল, সিলেট, কুমিল্লা এবং ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের প্রতিটি জোনে ৬০টি করে টিম কাজ করবে।
এছাড়া খুলনা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম এবং রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রতিটি জোনে ২৫টি করে টিম টিকাদানের জন্য থাকবে। উপজেলা ও জেলার প্রতিটি কেন্দ্রে ৩০০ এবং সিটি করপোরেশন এলাকায় ৫০০ লোককে টিকাদানের টার্গেট থাকবে। ওইদিন টিকা নিতে কোনো রেজিস্ট্রেশন বা জন্ম নিবন্ধন সনদ লাগবে না।
Discussion about this post