হার্টবিট ডেস্ক
দেশের ১২ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে সরকার। এরই মধ্যে ১০ কোটি টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। বাকি লোকদের মধ্যে ভাসমান জনগোষ্ঠী, পরিবহন শ্রমিকদের ভ্যাকসিন দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সরকারের লক্ষ্য ৭৫ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতা আনা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ক্যানসার দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ কথা জানিয়েছেন।
এদিকে, ইউরোপিয়ান কমিশনের হেল্থ অ্যান্ড ফুড সেফটির প্রধান স্টেলা কিরিয়াকাইডস বলেছেন, ‘বিশ্বের মোট জনসংখ্যার অর্ধেককে করোনাভাইরাসের পূর্ণ ডোজ টিকার আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। তবে বিশ্বব্যাপী এই টিকা কার্যক্রমকে আরো এগিয়ে নেওয়ার জন্য নানা মুখী কার্যক্রমের প্রয়োজন।’
করোনা প্রতিরোধে সবাইকে টিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। তারা ইচ্ছা করেই টিকা নিচ্ছেন না তবে আমি বলতে চাই আমাদের দেশের মানুষের ভ্যাকসিন নেওয়ার প্রবণতা রয়েছে। দেশের জনগণ অন্যান্য দেশের মতো না। ইউরোপে দেখলাম ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য আইন প্রয়োগ করা হচ্ছে; রাস্তাঘাটে মারধর করা হচ্ছে। নেদারল্যান্ডস, আমেরিকাতেও এমন পরিস্থিতির দেখা গেছে, তবে বাংলাদেশে এখনো এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।’
টিকা মানুষের মৃত্যুর ঝুঁকি কমিয়ে দিচ্ছে মন্তব্য করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে করোনায় মৃত্যু কম হওয়ার কারণ হলো আমাদের একটি বড় জনগোষ্ঠীকে আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছি। এ কারণে হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যাও কম। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় ১০ থেকে ১২ হাজার মানুষ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তবে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। গোটা দেশ মিলিয়ে এক থেকে দেড় হাজার করোনা রোগী হাসপাতালে ভর্তি। দেশের ৭৫ শতাংশ বেড এখনো খালি রয়েছে। তাই সবাইকে অনুরোধ করব, যারা এখনো টিকা নেননি তারা টিকা নিয়ে নিন।’
এদিকে, ইউরোপিয়ান কমিশনের হেল্থ অ্যান্ড ফুড সেফটির প্রধান স্টেলা কিরিয়াকাইডস বলেছেন, ‘বিশ্বের মোট জনসংখ্যার অর্ধেককে করোনাভাইরাসের পূর্ণ ডোজ টিকার আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। তবে বিশ্বব্যাপী এই টিকা কার্যক্রমকে আরো এগিয়ে নেওয়ার জন্য নানামুখী কার্যক্রমের প্রয়োজন।’
ফ্রান্সে গ্লোবাল হেল্থ মিনিস্টিরিয়াল কনফারেন্সে স্টেলা কিরিয়াকাইডস বলেন, ‘আমরা এখন এমন একটি অবস্থানে রয়েছি যেখানে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৫০ শতাংশকে করোনাভাইরাসের পূর্ণডোজ টিকার আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। ইউরোপ এখন পর্যন্ত ১৬৫টি দেশকে ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন টিকা প্রদান করেছে। আমি আগেও বলেছি এবং আজকে আবারও বলছি শুধু টিকা পাঠিয়ে বসে থাকলে হবে না প্রতিটি মানুষকে টিকার আওতায় আনার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। আর এই কাজটি করে চলেছি আমরা।’
Discussion about this post