হার্টবিটডেস্ক
গেল কয়েক দিন ধরেই মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে উত্তরাঞ্চলের ওপর দিয়ে। উত্তরের জেলা দিনাজপুরেও বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ।এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন ও সাধারণ মানুষজন।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে দিনাজপুরে ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এটি দিনাজপুরের এবার শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
এ বিষয়ে দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন বলেন, সোমবার সকাল ৯টায় দিনাজপুর জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি এই শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এছাড়া সোমবার বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯১ শতাংশ ও গতিবেগ ছিল ৪-৫ কিলোমিটার। তবে বেলা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এটি উত্তর বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ১০-১৫ কিলোমিটার গতিতে ধাবিত হতে পারে। আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৬ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আকাশে মেঘের উপস্থিতি ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাবে সেইসঙ্গে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি বা এর আশেপাশে দেশের কিছু কিছু স্থানে আবারও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে শীতের প্রভাবে শিশুরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। জ্বর, নিউমোনিয়া, সর্দি-কাশি ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত অনেক বাচ্চাকে দিনাজপুর শহরের শিশু হাসপাতালে ভর্তি করানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে অরবিন্দ হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ মনীন্দ্রনাথ রায় বলেন, গত কয়েক দিন ধরে দিনাজপুরের তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে থাকছে। এতে শিশুরা বিভিন্ন ধরনের ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এখানে প্রতিদিনই ২০-২৫টি শিশু সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছে। এজন্য বাচ্চাদের যেন ঠাণ্ডা না লাগে সেজন্য অভিভাবকদের সচেতন থাকতে হবে।
Discussion about this post