হার্টবিটডেস্ক
মাতৃদৃগ্ধ বিকল্প আইন ২০১৩ ও এর বিধিমালা ২০১৭, মায়ের দুধের উপকারিতা ও গুড়াঁ দুধের অপকারিতা বিষয়ক অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক কার্যালয়ের সহযোগিতায় জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান অবহিতকরণ সভার আয়োজন করেন।
শনিবার (২৯ জানুয়ারী) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নগরের জামালখানস্থ চিটাগাং সিনিয়রস ক্লাবের ককটেল লাউঞ্জে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বক্তারা বলেন, জন্মের পরে পরিপূর্ণ সুস্থ সবল শিশুর জন্য মায়ের দুধের কোন বিকল্প নেই। জন্মের সাথে সাথে মায়ের শাল দুধই শিশুর প্রথম টিকা ও খাবার। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন সংক্রামক থেকে শিশুকে দ্রুত রক্ষা করে। সন্তান ভূমিষ্ট হওয়ার পর খুব দ্রুত শাল দুধ খাওয়ালে মায়ের রক্তক্ষরণ কম হয় ও গর্ভফুল পড়তে সাহায্য করে। ফলে মা রক্ত স্বল্পতা থেকে রক্ষা পায়। শিশুকে সম্পূর্ণ সুস্থ রাখতে হলে জন্মের পর পর প্রথম ৬ মাস অবশ্যই বুকের দুধ দিতে হবে। এর পর দুই বছর পর্যন্ত বুকের দুধ খাওয়ানোর পাশাপাশি ঘরে তৈরী শিশুর উপযোগী তরল সুষম ও পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার দিতে হবে। তাহলে শারীরিক-মানসিক বিকাশ সাধনসহ শিশুটি বুদ্ধিমান হবে।
বক্তারা আরও বলেন, মায়ের দুধের বিকল্প হিসেবে যে সব গুঁড়ো দুধ বাজারে বিক্রি হয় সেগুলো শিশু স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। বুকের দুধের পরির্বতে এগুলো খাওয়ালে শিশুরা অপুষ্টিতে ভূগে ও বিভিন্ন জঠিল রোগে আক্রান্ত হয়। দেশী-বিদেশী এক শ্রেণীর অসাধু কোম্পানী হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে শিশুদের জন্য মায়ের দুধের পরির্বতে গুড়োঁ দুধের প্রচার প্রচারণা চালায়। তারা এক শ্রেণির ডাক্তারদের সাথে মাসিক চুিক্ততে শিশুদের জন্য মায়ের বিকল্প হিসেবে ব্যবস্থাপত্রে গুড়োঁ দুধ লেখানোর জন্য বাধ্য করে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীরের সভাপতিত্বে ও চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. দৃষ্টি শর্মার সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দিন মাহমুদ, পরিচালক (এমএনসি এন্ড এইচ) ডা. মোঃ সামসুল হক, জাতীয় পুষ্টিসেবার লাইন ডাইরেক্টর ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপ-পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. সাখাওয়াত উল্লাহ।
মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমের মাতৃদৃগ্ধ বিকল্প আইন ২০১৩ ও এর বিধিমালা ২০১৭, মায়ের দুধের অপকারিতা ও গুড়াঁ দুধের অপকারিতা বিষয়ক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় পুষ্টি সেবার ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার (ডিপিএম) ডা. শমসের তিবরিজ মুরাদ খান ও ডিপিএম ডা. নন্দলাল সূত্রধর।
Discussion about this post