হার্টবিটডেস্ক
যেসব নারী সন্তান ধারণ করতে পারেন না, তাদের হয়ে অন্য কেউ গর্ভে সন্তান ধারণ করে দিলে তাকে বলা হয় সারোগেসি। কিন্তু বিষয়টি মোটেই সহজ নয়। এতে যেমন রয়েছে চিকিৎসা-সংক্রান্ত জটিলতা, তেমনই রয়েছে নানা আইনি বিষয়ও।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক এই সারোগেসির বিষয়টি কী।
যে ধরনের সারোগেসি হতে পারে
প্রথাগত সারোগেসি: এক্ষেত্রে বাবার শুক্রাণু সারোগেট মায়ের শরীরে কৃত্রিম উপায়ে প্রতিস্থাপন করা হয়। সারোগেট মা এখানে সন্তানের বায়োলজিক্যাল। বাবার শুক্রাণু কাজ না করলে অন্য ডোনারের শুক্রাণু দিয়ে কাজ চালানো হয়।
গর্ভকালীন সারোগেসি: এক্ষেত্রে মায়ের ডিম্বাণুকে বাবার শুক্রাণু দিয়ে ফার্টিলাইজ করে তা সারোগেট মায়ের জরায়ুর মধ্যে প্রতিস্থাপন করা হয়। এক্ষেত্রে ডিম্বাণু প্রদানকারী মা সন্তানের বায়োলজিক্যাল মা। এটি সবচেয়ে জনপ্রিয় সারোগেসির পদ্ধতি। যুক্তরাষ্ট্রে এ পদ্ধতিটি বেশ জনপ্রিয়। এক্ষেত্রে বাবা-মায়ের সঙ্গে সন্তানের জিনগত মিল থাকে। সারোগেট মায়ের সঙ্গে থাকে না।
মূলত এই দুটি সারোগেসি প্রধান পদ্ধতি। যদিও এর বাইরেও রয়েছে কয়েকটি অন্য নিয়মও। তার ভিত্তিতে ভাগ করা হয় সারোগেসিকে।
পরোপকারী সারোগেসি: এক্ষেত্রে কোনো যুগল সারোগেট মাকে তাদের সঙ্গে এসে থাকতে বলেন। সারোগেটের খরচ তারাই বহন করেন।
ব্যবসায়িক সারোগেসি: অর্থের বিনিময়ে কাউকে সারোগেসির দায়িত্ব দেওয়া হয়।
সারোগেসির আগে যা মনে রাখতে হবে
যার রক্তচাপ, রক্তে শর্করার মাত্রা, থাইরয়েডের মাত্রা স্বাভাবিক তাকে সারোগেট করার জন্য বাছাই করা হয়। মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টিও দেখা হয় সারোগেট নির্বাচনের আগে। এমন সারোগেট মা নির্বাচন করা হয়, এর আগে যিনি সুস্থ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।
সারোগেট মা কারা হতে পারবেন
নিকট আত্মীয়রাই সারোগেট মা হতে পারবেন। অর্থাৎ যার জরায়ুতে সন্তান ধারণ করানো হবে, তাকে হতে হবে বায়োলজিক্যাল মা-বাবার নিকট আত্মীয় এমনটিই বলছেন চিকিৎসকরা।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
Discussion about this post