হার্টবিটডেস্ক
আজ রোববার (৩০ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক কুষ্ঠ দিবস। প্রতি বছর জানুয়ারি মাসের শেষ রোববার বিশ্ব কুষ্ঠ দিবস হিসেবে পালন করা হয়। কুষ্ঠরোগের বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে দিবসটি পালন করা হয়।
দিবসটির উদ্দেশ্য হলো কুষ্ঠ সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি এবং এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সাহায্য করা। এ ছাড়া কুষ্ঠ আক্রান্তদের নির্ভুল তথ্য ও সঠিক শিক্ষা প্রদান করা।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক কুষ্ঠবিরোধী সংগঠনসমূহের আন্তর্জাতিক ফেডারেশন ‘আইলেপ’, যা ১৩টি আন্তর্জাতিক এনজিও এর সমন্বয়ে গঠিত, এই দিবসটি পালনে উদ্যোগ নেয়।
আইলেপ এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা রাউল ফোলেরো বিশ্বব্যাপী কুষ্ঠরোগ বিষয়ক ব্যাপক সচেতনতা বৃদ্ধি কল্পে ও কুষ্ঠরোগের প্রতি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য ১৯৫৪ সালে দিবসটি উদযাপনের জন্য উদ্যোগ নিয়েছিলেন।
কুষ্ঠ মানব ইতিহাসের সবচেয়ে প্রাচীন রোগ। মানব সভ্যতার বিকাশ ও সামাজিক উন্নতির সাথে সাথে উন্নত দেশগুলোতে এই রোগের প্রাদুর্ভাব একবারেই কমে এসেছে।
বাংলাদেশসহ ব্রাজিল, ভারত, নেপাল, মোজাম্বিক, এঙ্গোলা, কঙ্গো এবং তানজানিয়ায় কুষ্ঠরোগাক্রান্ত ব্যক্তিরা শনাক্ত হচ্ছে।
দি লেপ্রোসী মিশন ইন্টারন্যাশনাল-বাংলাদেশের তথ্যমতে- দেশে ৩৫ হাজার মানুষ বর্তমানে কুষ্ঠরোগে আক্রান্ত।
আমাদের দেশে অনেকে মনে করে এই রোগটি অভিশাপের ফল। দি লেপ্রোসী মিশন ইন্টারন্যাশনাল-বাংলাদেশ বলছে- এজন্য গণসচেতনতা সৃষ্টি করা প্রয়োজন।
আমাদের দেশের সরকারি হাসপাতাল ও এনজিও দ্বারা পরিচালিত কুষ্ঠ ক্লিনিকে বিনামূল্যে এ রোগের চিকিৎসা প্রদান করা হয়।কুষ্ঠরোগের প্রায় ৮০ ভাগ স্বাস্থ্যসেবা এনজিও কর্তৃক পরিচালিত হাসপাতালগুলো প্রদান করে থাকে। কিন্তু আর্থিক সমস্যার কারণে তাদের এই সেবা কার্যক্রম অনেকটাই ব্যাহত হচ্ছে। দেশে কুষ্ঠ রোগীদের সঠিকভাবে সামাজিক পুনর্বাসনের প্রয়োজন।
Discussion about this post