হার্টবিটডেস্ক
করোনার সংক্রমণ রোধে করোনা টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়ার বয়স ৪০ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আজ রোববার (৩০ জানুয়ারি) সকালে মহাখালীর বাংলাদেশ কলেজ অফ ফিজিশিয়ান্স অ্যান্ড সার্জন্সের ‘কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন এবং করোনা পরিস্থিতি নিয়ে’ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব বলেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ১২ বছর বয়সী সকল নাগরিককে টিকা দেওয়া হবে। এখন থেকে ৪০ বছর বয়স থেকে বুস্টার ডোজ দেয়া যাবে, যা আগে ৫০ বছর ছিল।
ভ্যাকসিন কর্মসূচি নিয়ে ডা. জাহিদ মালেক বলেন, ভ্যাকসিন দেওয়া অব্যাহত রয়েছে। ভ্যাকসিন দেওয়ার ফলে মৃত্যুহার কম গেছে। দেশে আক্রান্ত সংখ্যা আরও বেশি হবে, কারণ সবাই করোনা পরীক্ষা করে না।
ভ্যাকসিন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশে পর্যাপ্ত টিকা আছে, এই মুহূর্তে বাইরের টিকার প্রয়োজন নেই। করোনা টিকার প্রথম ডোজ প্রায় ১০ কোটি লোককে দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ছয় কোটি মানুষকে। খুব ভালো খবর হলো, স্কুলের এক কোটি ৪০ লাখ ছেলে-মেয়েদের টিকা দেওয়া হয়েছে। এ মাসেই তিন কোটি ৪০ লাখ মানুষকে টিকা প্রদান করা হয়েছে; সরকারের এটা বড় একটা অর্জন।
এ পর্যন্ত মোট ১৫ কোটি ৭০ লাখ টিকা প্রয়োগ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্যমাত্রা সাড়ে ১২ কোটি টিকার ডোজ প্রদান করা। ওয়ার্ড পর্যায়ে পর্যন্ত টিকা দেওয়া হচ্ছে। বাস মালিক, দোকান মালিক সমিতি—এ সমস্ত জায়গার কিছু লোক টিকা নেয়নি। এ সংগঠনগুলোকে চিঠি দিয়েছি; তাদের টিকা নিতে বাধ্য করতে বলেছি। একটা মিটিংয়ে বসে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা ও মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন প্রমুখ।
Discussion about this post