হার্টবিটডেস্ক
স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রথম নারী মহাপরিচালক ডা. মনোয়ারা বিনতে রহমানকে মরণোত্তর সন্মাননা প্রদান করা হয়েছে। শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত প্রথম ন্যাশনাল এনডিসি কনফারেন্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে এই সম্মননা দেওয়া হয়। অসংক্রামক ব্যাধী মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় এই সন্মাননা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মণির হাত থেকে এই সন্মাননা গ্রহণ করেন ডা. মনোয়ারার কন্যা বিশ্ব ব্যংকের এইচএনপি গ্লোবাল প্র্যাকটিসের সিনিয়র হেলথ স্পেশালিস্ট ডা. বুশরা বিনতে আলম।
ডা. বুশরা বলেন, মা আজীবন দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করে গেছেন। তৎকালীন সংক্রামক ব্যধী প্রতিরোধ ছিল অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। মা সেক্ষেত্রেও বড় ভূমিকা রেখেছেন। মায়ের এই সন্মাননা বর্তমানে চিকিৎসা খাতে কর্মরত অন্য নারীদের জন্যও উৎসাহজনক।
স্বাস্থ্যখাতে বিশেষ অবদান রাখায় মোট ১২ জন চিকিৎসককে সম্মাননা দেওয়া হয়। চিকিৎসায় ছয় বিশিষ্ট চিকিৎসককে মরণোত্তর সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়া ছয় জন চিকিৎসককে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়।
তাদের মধ্যে নাশ্যনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনিস্টিটিউট-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম এ মালেক, ডেল্টা হসপিটাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ মোকাররম আলী, ন্যাশনাল ইনিস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটাল-এর পরিচালক অধ্যাপক ডা.কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, অধ্যাপক সাদিকা তাহরিন খানম, কিডনি ফাউন্ডেশন হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনিস্টিটিউট-এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. হারুণ অর রশিদ, শমরিতা হাসাপাতারে মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. এমএন আলমকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়।
এ ছাড়া বারডেমের প্রতিষ্ঠাতা জাতীয় অধ্যাপক মোহাম্মদ ইব্রাহীম, দ্য ইনিস্টিটিউট অব পোস্ট গ্রাজুয়েট মেডিসিন রিসার্চ (আইপিজিএমআর) এবং ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি চিটাগাং-এর প্রতিষ্ঠাতা জাতীয় অধ্যাপক নুরুল ইসলাম, দেশের প্রথম মুসলিম নারী চিকিৎসক অধ্যাপক জোহরা বেগম কাজী, মেডিসিনের অধ্যাপক এসজিএম চৌধুরী, অধ্যাপক নিজামুদৌলা চৌধুরীকে মরণোত্তর সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
Discussion about this post