হার্টবিটডেস্ক
দেশে ২০১৮ সালে বায়ু দূষণজনিত রোগে মারা গেছেন এক লাখ ৫৩ হাজার মানুষ। ওই বছর শুধু ঢাকায় মারা যায় ১০ হাজার জন।
আজ বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
এতে বিশ্বব্যাংক-২০১৮ এর প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে জানানো হয়, ‘বাংলাদেশ ২০১৮ সালে বায়ু দূষণজনিত রোগে মারা যায় প্রায় এক লাখ ৫৩ হাজার লোক। এর মধ্যে শুধু ঢাকায় মারা যায় ১০ হাজার মানুষ।’
সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র ও সুইজারল্যান্ডভিত্তিক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান (আইকিউ) এয়ার’র সর্বশেষ প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য তুলে বক্তারা জানান, বিশ্বে বসবাসের অযোগ্য শহরের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে আছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা।
এতে বলা হয়েছে, ‘বায়ু দূষণের দিক দিয়ে ২০২০ ও ২০১৯ সালের প্রতিবেদন শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ এবং বিশ্বের রাজধানী শহরগুলোর মধ্যে দূষণের দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ঢাকা শহর।’
বায়ু দূষণের প্রাকৃতিক কারণগুলোর মধ্যে আবহাওয়া জনিত ও ভৌগোলিক কারণ উল্লেখযোগ্য। মানবসৃষ্ট কারণ গুলোর মধ্যে নগর পরিকল্পনার ঘাটতি, আইনের দুর্বলতা, আইন প্রয়োগের সীমাবদ্ধতা অন্যতম কারণ।
বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) সাম্প্রতিক গবেষণা অনুযায়ী, অপরিকল্পিত ও অনিয়ন্ত্রিত রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি ও নির্মাণকাজ (৩০%) থেকে সবচেয়ে বেশি বায়ু দূষণ হয়। এ ছাড়া অন্যান্য উৎসগুলোর মধ্যে ইটভাটা ও শিল্প কারখানা (২৯%), যানবাহনের কালো ধোঁয়া (১৫%), আন্তঃদেশীয় বায়ুদূষণ (১০%), গৃহস্থালী ও রান্নার চুলা থেকে নির্গত দূষক (৯%) এবং বর্জ্য পোড়ানোর (৭%) কারণে বায়ু দূষণ হয়ে থাকে।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাপার যুগ্ম সম্পাদক ও বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার।
Discussion about this post