হার্টবিটডেস্ক
বর্তমানে যেভাবে বাংলাদেশে আবার করোনার রোগীর সংখ্যা বাড়ছে তাতে আমাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রার ছন্দ আমরা আবারও হারাচ্ছি। করোনায় আক্রান্ত হলে একজন রোগীর সবচেয়ে বেশি যে অঙ্গটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলো আমাদের ফুসফুস। এই ফুসফুসকে কীভাবে আমরা প্রাকৃতিক উপায়ে পরিষ্কার ও ভালো রাখতে পারি তা জেনে নিন –
করোনা আর প্রাকৃতিক দূষণের হুমকিতে আমাদের ফুসফুসের স্বাস্থ্যকে রক্ষা করা একরকম চ্যালেঞ্জই এখন বলা যায়। তাই নিজের ফুসফুসকে সুস্থ রাখতে জীবনযাত্রার কিছু নির্দিষ্ট পরিবর্তন আনুন। এটি করোনা আর বায়ু দূষণের খারাপ প্রভাবগুলোকে পরাজিত করবে সেই সঙ্গে প্রাকৃতিকভাবে আপনার ফুসফুসকে পরিষ্কার করতে পারবে।
বায়ু দূষণের অনেক ক্ষতিকারক প্রভাবের মধ্যে কয়েকটির মধ্যে রয়েছে মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব, কিছু অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া, হাঁপানি, শ্বাসযন্ত্রের রোগ এবং ফুসফুসের রোগ। সময়ের প্রয়োজন হলো অবিলম্বে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া।
ফুসফুস পরিষ্কারের জন্য নির্দিষ্ট কিছু জীবনযাত্রায় পরিবর্তন, খাবার এবং পানীয় রয়েছে যা আপনার লিভার বা ফুসফুস পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এর জন্য একটি স্বাস্থ্যকর, সুষম খাদ্য গ্রহণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বায়ু দূষণ ও করোনা রোগে আক্রান্ত হলে শরীরে ভিটামিন ডি, ই, সি, ক্যালসিয়াম, বিটা ক্যারোটিন, বোমেলাইন, ওমেগা ৩, ফ্যাটি অ্যাসিড এবং কারকিউমিনের মাত্রা হ্রাস পায়। একটি পুষ্টিকর সুষম খাদ্য এই ধরনের পুষ্টির ঘাটতি পূরণে সাহায্য করতে পারে।
বায়ু দূষণ ও করোনার ফলে শরীরে আয়রনের মাত্রাও কমে যায়। এটি কম হিমোগ্লোবিনের মাত্রায় প্রতিফলিত হতে পারে। আপনার যদি আয়রনের ঘাটতি হয় তাহলে আপনাকে অবশ্যই আরও কিছু শাকসবজি, বিটরুট, বীজ, কালো কিশমিশ, গাঢ় গুড়, মসুর, আনারস এবং ডালিম অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
আয়রনের সর্বোত্তম শোষণের জন্য আপনার খাদ্যতালিকায় ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন। আয়রন সমৃদ্ধ খাবারের সাথে চা বা কফি এড়িয়ে চলুন। কারণ তার এই ধরনের খাবার দেহে আয়রনের শোষণে বাধা দেয়।
আয়রন সমৃদ্ধ খাবারের সাথে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার থাকাও আয়রন শোষণে হস্তক্ষেপ করতে পারে। আয়রন শোষণ বাড়ানোর জন্য আপনি রাতারাতি তামা পরিশোধিত পানীয় খেতে পারেন। রান্নায় কেস আয়রন পাত্রের ব্যবহার আপনার হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।
Discussion about this post