সোনিয়া সাবরিন, পুষ্টিবিদ
বাজার এখন নানান রকম সবজিতে রঙিন। আমাদের প্রতিদিনের খাবারে বৈচিত্র্য আনতে সাহায্য করে শীতকালের সবজি। এ সময়ে নতুন সবজির নানান রকম খাবার তৈরি হয়। তবে কিডনি রোগীরা শীতকালে কোন সবজি খেতে পারবেন ও কতটুকু খেতে পারবেন, সে সম্পর্কে দ্বন্দ্বে থাকেন। ফল খাওয়ার ক্ষেত্রেও কিছু বিষয় তাঁদের জানা থাকা চাই।
কিডনি রোগীদের শীতের সবজি
কিডনি রোগীর রক্তে পটাশিয়াম, ফসফরাস, ইউরিক অ্যাসিড ইত্যাদির মাত্রা জেনে তার খাদ্যতালিকায় সবজি যোগ-বিয়োগ করা হয়। সাধারণত অতিরিক্ত পটাশিয়াম ও পিউরিনসমৃদ্ধ খাবারগুলো কিডনি রোগীদের খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। রাখলেও সীমিত পরিমাণ।
শাক: পটাশিয়াম বেশি থাকার কারণে কিডনি রোগীদের বিভিন্ন রকমের গাঢ় সবুজ শাক খুব বেশি পরিমাণে খাওয়া যাবে না। তাই বলে একদম খাবেন না, সেটাও না। খেতে পারবেন, তবে পরিমাণে অল্প।
সবজি: কিডনি রোগীদের টমেটো, আলু, মিষ্টি আলু, কচু, ডাল ও বীজজাতীয় সবজি কম পরিমাণে খেতে হবে। এগুলো রক্তে পটাশিয়াম ও ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, যা কিডনির জন্য ক্ষতিকর।
গাজর, মুলা, বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, করলা, চিচিঙ্গা, ঝিঙে, চালকুমড়া, মিষ্টি কুমড়া ইত্যাদি সবজিগুলোর কোনোটাই অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না। পরিমিত পরিমাণ খেতে পারবেন। মসলার মধ্যে পেঁয়াজ, রসুন ও আদা কিডনির জন্য উপকারী। এ ছাড়া ধনেপাতা, তুলসীপাতা, পুদিনাপাতা ও চিরতা কিডনির কার্যকারিতা ভালো রাখতে সাহায্য করে।
কিডনি রোগীদের জন্য ফল
ফল খাওয়ার ব্যাপারে কিডনি রোগীদের সতর্ক থাকা উচিত। অক্সালিক অ্যাসিড, ইউরিক অ্যাসিড, পটাশিয়াম ইত্যাদি বিবেচনা করে একেকজন কিডনি রোগীর জন্য ফল নির্বাচন করা হয়। সাধারণত লেবু, কমলা, মাল্টা, আমলকী, আঙুর, কলা, শুকনো ফলমূল কিডনি রোগীদের কম খেতে বলা হয়। অন্যদিকে আপেল, পেয়ারা, নাশপাতি, বেদানা, আঙুর ইত্যাদি পরিমিত পরিমাণে খেতে পারবেন।
Discussion about this post