হার্টবিটডেস্ক
নিয়ন্ত্রিত ডায়েট এবং ভারী শরীরচর্চার মাধ্যমে অতিরিক্ত চাপ নিতে না চাইলে, জানা জরুরি কোন ধরনের খাবারের কারণে পেটে মেদ জমতে থাকে। অনেকেই পেটের মেদ নিয়ে চিন্তিত থাকেন। শরীরের তুলনায় পেটে দ্রুত মেদ জমতে শুরু করে। এ ছাড়াও উরুর মেদও বেড়ে যায় শরীরচর্চার অভাবে।
সাধারণত মদ্যপান, মিষ্টিজাতীয় খাবার অতিরিক্ত গ্রহণ, ডুবো তেলে ভাজা খাবার, কোমল পানীয়, অস্বাস্থ্যকর বাইরের খাবার, নিয়মিত লাল মাংস (রেড মিট) খাওয়া, স্যাচুরেটেড চর্বি গ্রহণ ইত্যাদি পেটের মেদ বাড়িয়ে তোলার পেছনে ভূমিকা রাখে।
অতিরিক্ত পেটের মেদ কমানোর জন্য অবশ্যই ফাইবার গ্রহণ বাড়িয়ে নিতে পারেন। বেশি দ্রবণীয় ফাইবার খেলে তা আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য তৃপ্ত রাখে এবং উচ্চ ফ্যাটযুক্ত খাবারের প্রতি আপনার আগ্রহ কমিয়ে আনে।
অ্যালকোহল এড়িয়ে চলা
অ্যালকোহল পান করলে পেটে চর্বি জমে এবং কোমরের লাইনের চারপাশে ফ্যাট স্টোরেজ বাড়তে পারে। বেশিরভাগ অ্যালকোহলযুক্ত পানীয়তে অতিরিক্ত চিনি থাকে, যা দ্রুত ওজন বাড়িয়ে তোলে। অতিরিক্ত ক্যালোরি পেটের অঞ্চলে জমা হয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
বেরি
পেটের চর্বি কমানোর এক দুর্দান্ত উপায় হলো সেই ফ্যাটযুক্ত নাস্তার বদলে বেরি জাতীয় ফল খাওয়া। এগুলো কেবল সুস্বাদুই নয়, পাশাপাশি ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যেও সমৃদ্ধ।
ঘুমের সাথে আপস করবেন না
ঘুমের অভাবে শরীরে অতিরিক্ত ওজন বাড়তে পারে। খুব অল্প ঘুম করটিসোলকে বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার খাওয়ার আকাঙ্ক্ষা বাড়িয়ে তুলতে পারে। সুতরাং, এটি নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ যে আপনি প্রতিদিন কমপক্ষে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমাতে পারছেন।
চিনিকে না বলুন
যদি সত্যিই আপনার পেটের চর্বি থেকে মুক্তি পেতে চান তবে চিনিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা শুরু করুন। চিনি শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে পারে, যা শরীরকে ফ্যাট সংরক্ষণে সাহায্য করে। ফলস্বরূপ পেটে জমতে থাকে মেদ।
জীবন যাপনের নিয়ম
সকালে এক দুই টুকরো কাঁচা রসুনের কোয়া খান। এই অভ্যাসের ফলে দ্রুত আপনার ওজন কমবে আর পেটের মেদ ঝরবে। কাঁচা রসুন শরীরের রক্তপ্রবাহ সহজ করে। পেটে মেদ জমতে দেয় না।
সকাল শুরু করুন এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে পান করে। এতে শরীরের হজমপ্রক্রিয়া ভালো থাকবে এবং শরীরে মেদ জমার প্রক্রিয়া ধীর হবে।
অতিরিক্ত চিন্তা ও কম উদ্যোগের ফলেও কোমরের চারপাশে বা পেটে মেদ জমতে পারে। তাই ভুঁড়ি কমাতে অবশ্যই চিন্তামুক্ত জীবনযাপন করতে হবে।
অনেকেই খাবার খাওয়ার পর বসে থাকেন বা শুয়ে পড়েন। তাদের খাবার সঠিকভাবে পরিপাক হয় না, ফলে পেটে চর্বি জমতে থাকে। সে জন্য খাবার খাওয়ার পর একটানা শুয়ে-বসে না থেকে ১৫ থেকে ২০ মিনিট হাঁটাহাঁটি করা উচিত।
যাদের সারাদিন টেবিল–চেয়ারে বসে কাজ করতে হয়, তাদের পেটে সহজে মেদ জমে যায়। ভুঁড়ি গোল হতে শুরু করে। তাই তাঁদের উচিত ৩০-৪০ মিনিট বসে কাজ করার পর উঠে ১০-১৫ মিনিট হাঁটাহাঁটি করা।
একবারে অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ না করে অল্প অল্প করে বারবার খাবার গ্রহণ করুন। সারাদিনের অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টার খাবারকে ৫-৬ বারে গ্রহণ করুন। সেখানে তিনবার প্রধান খাবার ও দুই-তিনবার নাশতাজাতীয় খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন।
Discussion about this post