হার্টবিটডেস্ক
ফের বছরের শুরু থেকেই বেড়েছে করোনার সংক্রমণ। শুধু চলতি জানুয়ারি মাসেই চট্টগ্রামে আক্রান্ত হয়েছে ১৪ হাজার ৩ জন।
তবে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও মৃত্যু সংখ্যায় স্বস্তি রয়েছে। গত ২৬ দিনে চট্টগ্রাম মৃত্যুবরণ করেছেন ১৪ জন।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা অব্যাহত আছে। পাশাপাশি টিকাদান কার্যক্রমও চালিয়ে যাচ্ছি। এরই মধ্যে স্কুল শিক্ষার্থীদের শতভাগ টিকার আওতায় আনা হয়েছে। এছাড়া গণপরিবহন শ্রমিকদেরও টিকার আওতায় আনতে কাজ করছি।
সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাঠানো ডিসেম্বর ও চলতি জানুয়ারি মাসের করোনা শনাক্তের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ২৬ দিনে চট্টগ্রামে ১৪ হাজার ৩ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে, যা প্রতিদিন গড়ে ৫৩৮ জন। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় সংক্রমণের হার ২৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ। এছাড়া গত ২৬ দিনে ৫৪ হাজার ৯৩৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
অন্যদিকে গত ডিসেম্বর মাসে নমুনা পরীক্ষা করা হয় ৪৪ হাজার ১০৬টি এবং মোট করোনা আক্রান্ত ছিল ২৩৫ জন। যা গড় হিসেবে প্রতিদিন মাত্র ৮ জন। সার্বিকভাবে গত মাসে করোনা সংক্রমণের হার ছিল শূন্য শতাংশের নিচে।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) এর মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. মামুনুর রশিদ বলেন, সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা না থাকায় করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। তবে সে তুলনায় হাসপাতালে বাড়েনি রোগীর চাপ। তবে হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা দিয়ে করোনার সংক্রমণ বিচার করা যাবে না। নিজ নিজ জায়গা থেকে সকলকে সচেতন হতে হবে।
তিনি বলেন, জনসমাগম, সামাজিক অনুষ্ঠান বন্ধ রাখা জরুরি। এছাড়া মাস্ক পড়া নিশ্চিত করতে হবে সকলকে। স্বাস্থ্যবিধি মানতে মানুষের উদাসীনতা বড় ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।
Discussion about this post