হার্টবিটডেস্ক
মোটা হয়ে যাওয়ার ভয়ে অনেকেই ভাত খান না। ভাতের বদলে অন্য কোনো খাবারে খাওয়ার অভ্যাস করছেন অনেকে। ভাত না খেয়ে ওজন কমানোর চিন্তায় বেছে নিয়েছে অনেকেই, তবে ভাত খাদ্য ও পুষ্টির মূল স্তম্ভ, তাই ভাত খাওয়া বন্ধ করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
গত বছরের ৩১ আগস্ট ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজের একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে
ভাত মানেই হু হু করে ওজন বাড়বে-এমন ধারণা যে ভুল তা জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে পরিমাণ মতো ভাত খাওয়া দরকার, পুরোপুরি বন্ধ করারও দরকার নেই। কখন ভাত খাওয়া উচিত এবং এর অসুবিধাগুলি কী কী অনেকেই এই বিষয়ে মন্তব্য করেন।
অনেকেই মনে করেন, রাতে ভাত খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক ফলে বেশিরভাগ মানুষ রাতে ভাত খাওয়া থেকে বিরত থাকেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, রাতে ভাত খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। যদি আপনি ভাত খেতে পছন্দ করেন তাহলে রুটি খেয়ে পেটের সমস্যায় না ভুগে দিনে একবার অথবা দুবার ভাত খান।
ভাতের গ্লাইকোজেন থাকায় তা গলে দেরি করে। ভাতকে বলে ‘ফ্রি ফুড’। কারণ এতে সোডিয়াম, কোলেস্টেরল, গ্লুটেন ইত্যাদি ক্ষতিকর উপাদান থাকে না। চর্বি থাকেই না প্রায়, স্যাচুরেটেড ফ্যাটও থাকে না। বরং ভাতে থাকে কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট বা স্টার্চ, যার ফলে শরীরে শক্তি জোগাতে যার বিরাট ভূমিকা নেয়।
এছাড়াও ফাইবার থাকার ফলে পেটের সমস্যা কমাতে, ওজন, সুগার এবং রক্তচাপ ঠিক রাখতে সাহায্য করে। ভাতে আছে প্রোটিন, ভিটামিন ও মিনারেলস। সবজির সঙ্গে ভাত খেলে আরও উপকারিতা বাড়ে।
চিকিৎসকদের মতে, ভাত হজম করা সহজ, তাই এটি রাতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় না। ভালো ঘুম হতে সাহায্য করে। ভাতে গমের চেয়ে কম ক্যালোরিও রয়েছে, এতে ফ্যাটযুক্ত উপাদান রয়েছে এবং কোলেস্টেরল মুক্ত।
Discussion about this post