হার্টবিট ডেস্ক
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ৬৭ জন।
সোমবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে এ তথ্য জানান চমেক হাসপাতালের উপ পরিচালক ডা. আফতাবুল ইসলাম।
তিনি বলেন, করোনার সংক্রমণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চমেক হাসপাতালেও রোগী বাড়তে শুরু করেছে। সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত করোনা ওয়ার্ডে ৬৭ জন রোগী ভর্তি রয়েছে এবং ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুবরণকারী ৬ জন করোনা আক্রান্ত হলেও তারা হৃদরোগ, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগী ভুগছিলেন।
এদিকে চমেক হাসপাতাল সহ নগরের সরকারি-বেসরকারি ৭টি হাসপাতালে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত রোগী ভর্তি রয়েছে ১৫২ জন। এর মধ্যে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ১৭ জন, চমেক হাসপাতালে ৬৭ জন, বিআইটিআইডি’তে ৭ জন, পার্কভিউ হাসপাতালে ১৮ জন, ম্যাক্স হাসপাতালে ১১ জন, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৩০ জন, সিএসসিআর-এ ১ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। এদের মধ্যে পার্ক ভিউ হাসপাতালের আইসিইউতে ১ জন এবং ম্যাক্স হাসপাতালের আইসিইউতে ২ জন করোনা আক্রান্ত রোগী ভর্তি রয়েছে বলে জানান হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্টে ডা. আব্দুর রব মাসুম বলেন, চট্টগ্রামে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। কাজেই সচেতন থাকা খুবই জরুরি। ডাবল ডোজ টিকা নিলে করোনা আক্রান্ত হবে না, ব্যাপারটা তেমন নয়। টিকা মানুষকে করোনার সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারবে না, তবে সংক্রমিত হলে প্রতিরোধ তৈরি করতে পারবে।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) এর সহযোগী অধ্যাপক ডা. মামুনুর রশিদ বলেন, মাস্ক হলো করোনা থেকে রক্ষা পাওয়ার একমাত্র উপায়। সুতরাং করোনার সংক্রমণ থেকে বাঁচতে হলে মাস্কের বিকল্প নেই। টিকা নেওয়ার ফলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়।
Discussion about this post