হার্টবিটডেস্ক
লিভার বা যকৃত আমাদের পাচন প্রক্রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এই অঙ্গটি আমাদের শরীরে খাদ্য হজমে সাহায্য করে এবং শরীরের বিষাক্ত পদার্থ দূর করে। অনেকেরই ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে লিভার সিরোসিস রোগটি শুধু মদপানের জন্যই হয়। কিন্তু আমাদের জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভাসের অনিয়মেও এই রোগটি হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা একে বলছেন, নন অ্যালকোহোলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ।
বর্তমানে নন অ্যালকোহোলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজের রোগীর সংখ্যা অনেক বাড়ছে। আমাদের লিভারের কোষে শতকরা ৫ ভাগ চর্বি জমা থাকে। ফ্যাটি লিভার ডিজিজে লিভারের ভেতরে এই চর্বি বা ফ্যাটের জমার পরিমাণ শতকরা ৫ ভাগের বেশি হয়ে যায় যা লিভারের কার্যক্ষমতার ক্ষতি করে। এই রোগ থেকেই পরবর্তীতে ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, লিভার সিরোসিসের মতো মতো গুরুতর সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ফ্যাটি লিভার ডিজিজের উপসর্গ: এই রোগের তেমন কোনো লক্ষণ না থাকলেও রয়েছে কিছু উপসর্গ। অনেক ক্লান্তিবোধ, তলপেটে চিনচিনে বা খুব ব্যথা, সারাদিন ঘুম ঘুম ভাবকে এ রোগের উপসর্গ হিসেবে ধরা হয়।
আমাদের দৈনন্দিন জীবন ও খাদ্যাভাসে একটু পরিবর্তন করেই আমরা ফ্যাটি লিভার ডিজিজের মতো রোগকে এঁড়িয়ে চলতে পারি। এজন্য যেসব নিয়ম আমাদের মেনে চলতে হবে তা হলো-
১.বেশি বেশি ফাইবার জাতীয় খাবার খেতে হবে।
২.লাল চাল, লাল আটা, ওটস, রঙিন শাকসবজি ও ফলমূল আপনার ডায়েটে রাখুন।
৩. অন্যান্য চায়ের পরিবর্তে গ্রিন টি পানের অভ্যাস করুন।
৪. ওজন ও ভুঁড়ি কমান।
৫. তেল, ঝাল, মিষ্টি, ভাজাপোড়া, মসলাযুক্ত খাবার পরিহার করুন।
৬.বাইরের খাবারের প্রতি আসক্তি কমান।
৭. দুশ্চিন্তা পরিহার করতে নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
৮.লিভারের স্বাস্থ্যরক্ষা করতে আখরোট অনেক উপকারী ভূমিকা রাখে। তাই নিয়মিত আখরোট খান।
৯.লিভারের রোগীদের জন্য ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যুক্ত খাবার খাওয়া খুবই উপকারী। এটি লিভারে জমে থাকা চর্বি দূর করতে সাহায্য করে।
১০. ওমেগা-৩ পেতে বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক মাছ যেমন স্যালমন, সার্ডাইনস, টুনা এবং ট্রাউটের মতো ফ্যাটযুক্ত মাছ খান।
Discussion about this post