হার্টবিটডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিশেষ বিমানে ফাইজারের ২৩ লাখ ডোজ টিকা ঢাকায় এসেছে। শুক্রবার রাতে এ টিকা এসে পৌঁছায়। ফাইজারের এই টিকা শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের দেওয়া হবে। করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি এবং নতুন বিধিনিষেধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখতে শিক্ষার্থীদের টিকাদান কর্মসূচি জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
বিশ্বজুড়ে ন্যায্যতার ভিত্তিতে করোনার টিকাপ্রাপ্তি নিশ্চিতের লক্ষ্যে গড়ে তোলা প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্সের আওতায় এই টিকা এসেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনা ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব শামসুল হক বলেন, রাত সাড়ে ৯টায় একটি বিশেষ বিমানে এই টিকা পৌঁছেছে। টিকা গ্রহণ করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কয়েকজন কর্মকর্তা। বিমানবন্দর থেকে এই টিকা মহাখালীর কেন্দ্রীয় আইপিআইয়ের ওয়্যার হাউজে নেওয়া হয়। এই টিকা শিক্ষার্থীদের দেয়া হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে ফাইজারের টিকা দিয়ে বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়। তবে তাপমাত্রা জটিলতা ও টিকা সংকটের কারণে ফাইজারের বদলে মডার্নার টিকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। শুধু স্কুল ও কলেজগামী শিক্ষার্থীদের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ এবং যারা প্রথম ডোজ ফাইজার পেয়েছিলেন, তাদের জন্য দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে ফাইজারের টিকা সংরক্ষণ করতে হবে।
শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখতে জানুয়ারি মাসের মধ্যে সরকার ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী ৭৫ লাখের বেশি শিক্ষার্থীকে করোনার টিকা দিতে চায়। এই টিকা দিতে এখন শিক্ষার্থীদের টিকা নিবন্ধনের নিয়মও শিথিল করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর তৈরি তালিকা অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা টিকা নিতে পারবে।
শিক্ষার্থীদের টিকা সংক্রান্ত পরিসংখ্যান বলছে, দেশে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী মোট শিক্ষার্থী আছে ১ কোটি ১৬ লাখ ২৩ হাজার ৩২২ জন। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত প্রথম ডোজ টিকা পেয়েছে ৪৪ লাখ শিক্ষার্থী। আর পূর্ণ দুই ডোজ টিকা পেয়েছে ৪ লাখ ১৯ হাজার ৫৫৪ শিক্ষার্থী। বাকি ৭৫ লাখ ৫৪ হাজার ৬০৬ শিক্ষার্থীর এখনো প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া বাকি আছে।
Discussion about this post