হার্টবিটডেস্ক
দেশে এখন পর্যন্ত সংক্রমণ রোধে করোনা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেনি দেশের প্রায় আড়াই কোটি মানুষ।
চিকিৎসক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নানা কারণে টিকা নিতে মানুষের আগ্রহ কমে গেছে। প্রথম ডোজ নিলেও দীর্ঘদিন দ্বিতীয় ডোজের মেসেজ পাচ্ছেন না অনেকেই। যেসব কারণে বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠী এখনও টিকার আওতার বাইরে রয়েছে। আর এ আগ্রহ ঘাটতির পেছনে সরকারের প্রচারহীনতাকে দায়ী করছেন তারা।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, দেশে এখনও টিকার ২য় ডোজ নেয়নি এমন আড়াই কোটিরও বেশি মানুষের মধ্যে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেয়নি ৮৩ লাখ ৮১ হাজার ৩৫ জন। এ ছাড়াও ফাইজারের টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেয়নি ৬৫ লাখ ৬৩ হাজার ৪১৪ জন, মডার্নার টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেয়নি ৬৯ হাজার ৮৬০ জন, সিনোফার্মের টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেয়নি ৭৯ লাখ ২৮ হাজার ৩০৫ জন, সিনোভ্যাক টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেয়নি ২২ লাখ ১৪ হাজার ৫৮০ জন। সবমিলে দেশে প্রথম ডোজের টিকা নিয়ে এখনও দ্বিতীয় ডোজ নেয়নি ২ কোটি ৫১ লাখ ৫৭ হাজার ১৯৪ জন।
গত বছরের ২৭ জানুয়ারি করোনার টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রোজেনেকার টিকার মাধ্যমে দেশে টিকাদান শুরু হলেও বর্তমানে ফাইজার, সিনোফার্ম এবং মডার্নার টিকা দেওয়া হচ্ছে।
গতকাল শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য অনুাযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী শনাক্ত হন ৪ হাজার ৩৭৮ জন। আর পরীক্ষার বিপরীতে করোনা শনাক্তের হার ১৫ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। এ সময় করোনায় সংক্রমিত ছয় জনের মৃত্যু হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মোট ২৯ হাজার ৮৭৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
Discussion about this post