হার্টবিট ডেস্ক
গতবছর করোনায় আক্রান্ত হোন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওই সময় তাকে অ্যান্টিবডি ককটেলের ডোজ দেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি ভারত ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলি করোনায় আক্রান্ত হলে তাকে দেওয়া হয় মনোক্লোনাল ককটেল অ্যান্টিবডির ডোজ। এছাড়াও ভারতের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকেও এই ককটেল অ্যান্টিবডি দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু, এই ককটেল অ্যান্টিবডি আসলে কী? এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি আসলে অ্যান্টিবডির মিশ্রণ, যা ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনের বিরুদ্ধে কাজ করে। এতে করে রোগীর শরীরে ভাইরাসের প্রভাব কমে যায়। যদিও বেসরকারি হাসপাতালে এই ককটেল অ্যান্টিবডি থেরাপি অত্যন্ত ব্যয়বহুল।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় ভারতের বেলেঘাটা আইডি, শম্ভুনাথ পণ্ডিত, আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীদের ওপরে এই ককটেল থেরাপির পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয়েছিল।
যদিও পর্যাপ্ত রোগী পাওয়া না যাওয়ায়, অ্যান্টিবডি ককটেলের অর্ধেকের বেশির মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এখন সে থেরাপিই প্রয়োগ করা হচ্ছে দেশটির করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায়।
এদিকে বাংলাদেশে বাড়তে শুরু করেছে করোনার সংক্রমণ। দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৩৫৯ জন। শনাক্তের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ০৩ শতাংশে।
করোনায় এ পর্যন্ত দেশে ২৮ হাজার ১২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে; শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৪ হাজার ৬৬৪ জনে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৭ হাজার ৪৮৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ২৭ হাজার ৯২০টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১২ দশমিক ০৩ শতাংশ। মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬২ শতাংশ।
Discussion about this post