পুষ্টিবিদ রুবাইয়া পারভীন রীতি
প্রায়ই দেখা যায়, আমাদের আশপাশে আমরা অনেক মানুষকে দেখে থাকি যে তাঁদের মেজাজ খিটখিটে এবং একটা কিছু হলে তাঁরা সামান্য উত্তর দিতে বিরক্তবোধ করেন। হয়তো আমরা মনে করি যে তাঁরা স্বভাবতই এমন, আসলে কিন্তু তা নয়।
অনেক সময় পুষ্টিকর খাবারের অভাবেও মানুষের মেজাজ গরম থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে বলব, শাকসবজি, সালাদ ইত্যাদি বেশি করে খাবেন। যাঁরা অনেক বেশি ফাস্টফুড, জাঙ্কফুড, বাইরের খাবার এবং যেগুলো শরীরের জন্য ক্ষতিকর, লাল মাংস; এগুলো বেশি করে খান, মানসিকভাবে তাঁদের মেজাজ কিন্তু একটু বেশি খিটখিটে থাকে। তাঁরা অনেক বেশি মেজাজি হয়ে থাকেন।
সবজি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে পুষ্টিবিদ রুবাইয়া পারভীন রীতি বলেন, বিশেষ করে লাউ, ধুন্দলের তরকারি, পেঁপের তরকারি খাওয়ার চেষ্টা করবেন। এগুলো পেটকে যেমন ঠাণ্ডা রাখবে, পাশাপাশি মস্তিষ্ককেও ভালো রাখতে সাহায্য করবে। অনেক সময় মেজাজ খিটখিটে বেশি হয় মেয়েদের ক্ষেত্রে।
যেমন—বিভিন্ন হরমোনাল চেঞ্জিংয়ের কারণে; যখন মেয়েদের পিরিয়ড হয়, পিরিয়ডের টাইমে; তার পাশাপাশি অনেক সময় যাঁদের প্রেগন্যান্সি অবস্থায় এবং অনেক সময় দেখা গেছে, দ্বিতীয় বাচ্চা হচ্ছে, সে সময় কিন্তু ওই মা-দের মেজাজটা একটু গরম থাকে। তাঁদের হরমোনাল ইমব্যালান্স একটু বেশি পরিমাণে হয়। সে ক্ষেত্রে আমি বলব যে খালি পেটে কোনোভাবেই থাকা যাবে না এবং ঘুমটা যেন আপনার ভালো হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কারণ, ঘুম না হলে এবং অনেক বেশি স্ট্রেস নিলেও কিন্তু অনেকের মেজাজটা খিটখিটে থাকে বা গরম থাকে। মানসিকভাবে শান্তিতে থাকার জন্য অবশ্যই আপনাকে নিয়মিত ঘুমাতে হবে।
Discussion about this post