হার্টবিটডেস্ক
দেশে সপ্তাহের ব্যবধানে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী বেড়েছে ১৬৯ শতাংশ। কয়েক দিন ধরেই করোনার সংক্রমণে উল্লম্ফন দেখা যাচ্ছে।
বর্তমানে করোনার এমন পরিস্থিতিকে অ্যালার্মিং (বিপজ্জনক) বলে উল্লেখ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বুধবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভার্চ্যুয়াল বুলেটিনে অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. মো. রোবেদ আমিন এ কথা জানান।
তিনি বলেন, সব মহাদেশেই বর্তমানে সবচেয়ে বেশি করোনা শনাক্ত হচ্ছে। বর্তমানে ওমিক্রনের পাশাপাশি ডেলটা ধরন দুটিই অবস্থান করছে। সংক্রমণ হঠাৎ করে মাত্রাতিরিক্ত হয়ে গেলে ধরে নিতে হবে নতুন ধরনের কারণেই সংক্রমণ বেশি হচ্ছে।
রোবেদ আমিন বলেন, গত ১ সপ্তাহে বাংলাদেশে ১০ শতাংশের বেশি পরীক্ষা বেড়েছে। সাত দিনে দেড় লাখ পরীক্ষা হয়েছে। এ সময় রোগী শনাক্ত হয়েছে ১০ হাজার ৪৭৪ জন। এর আগের সপ্তাহের তুলনায় এক সপ্তাহে ছয় হাজার রোগী বেশি শনাক্ত হয়েছে। আগের সপ্তাহের তুলনায় গত সপ্তাহে ১৬৯ দশমিক ১২ শতাংশ রোগী বেড়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানের পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার দ্বিগুণ হয়ে গেছে। ৫ জানুয়ারি শনাক্ত ছিল ৪ দশমিক ২০ শতাংশ। ১১ জানুয়ারি এসে তা দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৯৭ শতাংশে।
রোবেদ আমিন বলেন, দেশে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত করোনা সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে ছিল। এরপর থেকে সংক্রমণ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে, যেটা আমাদের জন্য খুবই সাবধানতা এবং অ্যালার্মিং বিষয়। পুরো ডিসেম্বরে ৪ হাজার ৫৮৮ রোগী শনাক্ত হয়েছিল, সেখানে জানুয়ারির মাত্র ১১ দিনেই ১২ হাজার ৮৫০ রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। অনেকেই হয়তো টেস্ট করছেন না, সবাই টেস্ট করলে এ সংখ্যা হয়তো আরও অনেক বৃদ্ধি পেত।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও চার জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৮ হাজার ১১১ জনের। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন দুই হাজার ৯১৬ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ এক হাজার ৩০৫ জন।
Discussion about this post