হার্টবিটডেস্ক
বয়ঃসন্ধিকালই হলো নেতৃত্ব তৈরির প্রধান ভিত্তি। এ সময়েই কিশোর-কিশোরীদের নেতৃত্ব তৈরি হয়। তাই প্রত্যেক মা-বাবাকেই এই সময়ে তার সন্তানকে অধিক সময় দেওয়া প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
রোববার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিল্টন হলে আয়োজিত ‘জেন্ডার ট্রান্সফরমেটিভ অ্যাপ্রোচ ইন অ্যাডোলোসেন্ট ফ্রেন্ডলি হেলথ সার্ভিসেস’ বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, এই বয়সে যে নেতৃত্ব গড়ে উঠে পরবর্তী জীবনে সেটাই প্রকাশ পায়। দেশে বয়ঃসন্ধিকালীন কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্য ও তাদের অধিকারসহ সার্বিক বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। বিএসএমএমইউয়ে এই বয়সের কিশোর-কিশোরীদের জন্য একটি সেন্টার রয়েছে। যাতে এই সময়ে তাদের প্রয়োজনীয় সেবা নিশ্চিত করা যায়।
উপাচার্য বলেন, মানুষের জীবনে বয়ঃসন্ধিকালীন সময়টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে এই বয়সের মানুষের জন্য সমাজে বসবাসকারী মানুষের সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি এখনো গড়ে উঠেনি। বয়ঃসন্ধিকালীন সময়ে সন্তানকে মা-বাবার অধিক সময় দেওয়া প্রয়োজন।
এই বয়সে যৌন শিক্ষার বিষয়টিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই বয়সের মানুষের জন্য গবেষণা কার্যক্রমও জোরদার করতে হবে। কিশোর কিশোরীরা যাতে করে তাদের মনের কথা বলতে পারেন, পরিবারে ও তাদের জীবনের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভূমিকা রাখতে পারেন সমাজে সেই অবস্থা তৈরি করতে হবে, যোগ করেন উপাচার্য।
এ সময় অন্য বক্তারা বলেন, দেশ ও সমাজকে এগিয়ে নিতে নারীর প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হওয়ার প্রয়োজন। সব ক্ষেত্রেই নারী পুরুষের জন্য সম দৃষ্টিভঙ্গি নিশ্চিত করা জরুরি।
তারা বলেন, বয়ঃসন্ধিকালীন কিশোরীদের জন্যও সমাজের ইতিবাচক ও সম দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলার প্রয়োজন রয়েছে। এ ক্ষেত্রে পরিবারেরও ভূমিকা রয়েছে। একজন কিশোরী যাতে মেয়ে হওয়ার কারণে নিজেকে কোনো দিক থেকে অপূর্ণ না ভাবে সেভাবেই সবার দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলতে হবে।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইউনিসেফের হেলথ ম্যানেজার ডা. জিয়াউল মতিন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সৈয়দ শরীফুল ইসলাম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফারিহা হাসিন।
Discussion about this post