হার্টবিটডেস্ক
করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন নিয়ে সবার মনেই আছে আতঙ্ক। অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে ওমিক্রন খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। বাংলাদেশে ২০ জনেরও বেশি মানুষের শরীরে মিলেছে ওমিক্রন।
অন্যদিকে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যাও আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে চলেছে। শুধু বাংলাদেশেই নয়, পুরো বিশ্বেই করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।
বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, ডেল্টার থেকে ওমিক্রমনের উপসর্গ কম ভয়াবহ। তবে বাড়তে থাকা সংক্রমণ মানুষের মধ্য়ে ভয় তৈরি করছে। এ ছাড়াও সবার মধ্যে করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়েও আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
ওমিক্রন সংক্রমণ নিয়ে বিশেষজ্ঞরাও এখন কিছু বলতে পারছেন না। কারণ এই স্ট্রেন একদমই নতুন। আর এই স্ট্রেনের বিষয় সেরকম কোনো তথ্য়ও প্রকাশ্য়ে আসেনি। তাই এই পরিস্থিতিতে কোভিড বিধি-নিষেধ মেনে চলতে হবে ও টিকা গ্রহণ করতে হবে।
ওমিক্রনের উপসর্গ কী কী?
এই মিউট্যান্ট ভ্যারিয়্যান্টে সংক্রমিত হলে বেশিরভাগ মানুষের একইরকম উপসর্গের অভিজ্ঞতা হচ্ছে। প্রাথমিক স্ট্রেন দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার পর যে ধরনের উপসর্গ দেখা যাচ্ছিল, অনেকটা সেরকম উপসর্গই থাকছে সবার মধ্য়ে।
ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার পরে সবার প্রথমে হালকা জ্বর, ক্লান্তিভাব, গলা জ্বালা ও শরীরে ব্যথা থাকতে পারে বলে জানা গেছে। তবে সংক্রমণমুক্ত হওয়ার পরে কী কী জটিলতা শরীরে থাকতে পারে, তা নিয়ে এখনো কোনো তথ্য় পাওয়া যায়নি। গবেষকরা এই নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছেন।
ওমিক্রনের উপসর্গ সংক্রমণের কতদিনের মধ্যে শরীরে প্রকাশ পায়?
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, করোনায় সংক্রমিত হওয়ার পরে ৫-৬ দিনের মধ্য়েই উপসর্গ আসতে পারে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ১৪ দিনও সময় লাগতে পারে। ওমিক্রনে আক্রান্ত হলেও ৩-১৪ দিনের মধ্য়েই উপসর্গ প্রকট হচ্ছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ওমিক্রন সংক্রমিত হলে উপসর্গ অন্য়ান্য় ভ্য়ারিয়েন্টের থেকে আরও দ্রুত প্রকট হচ্ছে।
করোনায় সংক্রমিত হলে অন্তত ১০ দিন সবার থেকে আলাদা থাকুন। আগের মতোই বিধি-নিষেধ মেনে চলুন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে হবে। প্রচুর পানি ও পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার খান।
পাশাপাশি মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। বাইরে বের হলে কোভিড বিধি মেনে চলুন সবই। হাইজিন বজায় রাখতে বারবার সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে বা স্যানিটাইজ ব্যবহার করবেন।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
Discussion about this post