হার্টবিটডেস্ক
করোনা রোগী বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মেডিসিন বিভাগে কোভিড ছাড়া অন্য রোগীদের ভর্তি সীমিত করে দেওয়া হয়েছে।
পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে গেলে পর্যায়ক্রমে এ বিভাগে অন্যান্য রোগী ভর্তি পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হবে। তবে অন্যান্য বিভাগে স্বাভাবিকের মতোই স্বাস্থ্যসেবা পাবেন রোগীরা।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক আজ বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘মেডিসিন বিভাগে করোনা ছাড়া অন্য রোগী ভর্তি বন্ধ দেওয়ার খবর সত্য নয়। করোনা রোগী ভর্তি করা হচ্ছে। পাশাপাশি সকালে মেডিসিনে ভর্তি করা হচ্ছে। বিকেলে আসা রোগীদের জায়গা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কারণ আমরা করোনা সেবা আবারও চালু করছি। করোনা রোগীদের সেবা তো অব্যাহত ছিলই। এখন রোগী বাড়ায় তাদের জন্য আমরা জায়গা খালি করছি। আরপির মাধ্যমে দুইটা পর্যন্ত রোগীদের ভর্তি করছি।
দুইটার পর যেসব জরুরি রোগী আসে, তাদেরকে ভর্তি করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। সন্ধ্যার পরে প্রায় ৭০/৮০ জন ভর্তি হয়। কাউকে ভর্তি করলাম, কাউকে করলাম না; এমন তো করা যাবে না। সবাইকে ভর্তি করতে হবে। দুইটার পর থেকে পরের দিন সকাল আটটা পর্যন্ত যদি ৭০/৮০ জন রোগী ভর্তি হয়, তাহলে তো তাদেরকে জায়গা দেওয়া সম্ভব না। যেহেতু করোনা রোগী আমাদের কাছে আসছেন। সে কারণে নন-কোভিড সেবা সীমিত করা হচ্ছে।’
পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটলে মেডিসিনে অন্য রোগী পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হবে কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘করোনা বেড়েই যাচ্ছে, গত তিন দিনে তিনগুণ হয়ে গেছে। তিনশ’ ছিল, এখন নয়শ’ হয়ে গেছে। আগামী তিন দিন এ ধারা সমান গতিতে অব্যাহত থাকলেও এ সংখ্যা সাতাশশ’ হয়ে যাবে। আমাদেরকে কোভিড সেবা দিতে হবে। চিকিৎসা দেওয়ার বেলায় কোভিডকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। আমাদের প্রতি এমন নির্দেশনাই আছে। সে সেক্ষেত্রে কিছু কিছু হাসপাতাল করোনা রোগীদের সেবার আওতামুক্ত ছিল। তারা নন-কোভিড রোগীদের সেবা দিবে। আর আমরা কোভিড রোগীদের সেবা দেবো।’শুধু মেডিসিনের বেলায় এটি চলবে ,ক্যাজুয়ালিটি ব্লক, সার্জারি, গাইনি অবস, শিশু সার্জারি, শিশু মেডিসিন ও নিউরোসার্জারি—এসব বিভাগ পুরোপুরি চালু থাকবে।’
Discussion about this post