অধ্যাপক ডা. একেএম ফজলুল হক,বৃহদান্ত ও পায়ুপথ সার্জারি বিশেষজ্ঞ
শীতকালে অনেকেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগেন। এর মূল কারণ ঠাণ্ডার ভয়ে পানি কম খাওয়া। বেশি বেশি গরম পানি খাওয়ার কারণেও শরীর কষে যেতে পারে।
কোষ্ঠকাঠিন্য স্থায়ী হলে অনেক সময় সেটি পাইলস-ফিস্টুলায় রূপ নিতে পারে। সঠিক চিকিৎসার অভাবে পাইলস-ফিস্টুলা ক্যান্সারেও পরিণত হতে পারে।
পায়ুপথের বিভিন্ন সমস্যা যেমন রক্ত যাওয়া, ব্যথা হওয়া, ফুলে যাওয়া এসবই হয় পাইলসের কারণে। আসলে এ ধারণা সঠিক নয়। এসব উপসর্গে পায়ুপথে ক্যান্সারও হলে হতে পারে।
আবার ফিস্টুলা বা ভগন্দর রোগেও উপরোক্ত উপসর্গগুলো দেখা দিতে পারে। আবার এমন হতে পারে যে, প্রথমত পায়ুপথে ক্যান্সার হয়েছে সেটিও ফিস্টুলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারে, বেশিরভাগ ফিস্টুলা রোগীর ক্যান্সার থাকে না।
পায়ুপথের ক্যান্সার যখন দীর্ঘদিন চিকিৎসাবিহীন থাকে তখন এটি মলদ্বারের পাশে ছিদ্র হয়ে বের হয়ে আসে এবং সেখান থেকে পুজ যায় আবার কখনও কখনও রক্ত যায়।
রোগীরা সাধারণত মলদ্বারের ভেতর যন্ত্র দিয়ে পরীক্ষা করাতে চান না। ব্যথা হতে পারে এই ভেবে খুব ভয় পেয়ে যান। জিজ্ঞাসা করেন যে, এই পরীক্ষা করলে আমি আগামীকাল অফিসে যেতে পারব কি না? এটি নিশ্চিত করেই বলা যায় যে, এ পরীক্ষায় সামান্য অস্বস্তি ছাড়া কোনোরূপ ব্যথা হয় না।
বেশিরভাগ রোগীই এ পরীক্ষায় কোনোরূপ ব্যথা পান না। এ পরীক্ষার জন্য খুবই সামান্য সময়ের প্রয়োজন। সারাদিন না খেয়ে থাকার প্রয়োজন হয় না। মলদ্বারে তীব্র ব্যথা আছে এমন রোগীদেরও এ পরীক্ষা করা যায়। যেসব রোগে পায়খানার সঙ্গে রক্ত যায় তার মধ্যে ক্যান্সার অন্যতম।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রক্ত যায় যেসব রোগে সেগুলো হচ্ছে- ১. এনাল ফিশার, ২. পাইলস, ৩. রেকটাল পলিপ (শিশুদের বেশি হয়), ৪. ক্যান্সার, ৫. আলসারেটিভ কেলোইটিস, ৬. ফিস্টুলা ও অন্যান্য। এসব রোগে সঠিক সময়ে চিকিৎসা না নিলে পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে।
Discussion about this post