হার্টবিটডেস্ক
করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ নেওয়ার ক্ষেত্রে টিকাকেন্দ্র বদলানো যায় কিনা—এ বিষয়ে ফের ভাববে সরকার। সোমবার ( ৩ জানুয়ারি) বাংলা হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সঙ্গে আলোচনাকালে এ কথা বলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম।
দেশে ইতোমধ্যে অনেকেই ঢাকার বাইরে টিকার প্রথম ও দুই ডোজ নিয়েছেন। কিন্তু তারা অনেকেই নানা কারণে আগের স্থানে নেই। তারা সেক্ষেত্রে টিকার বুস্টার ডোজ কোথায় বা কীভাবে নেবেন জানতে চাইলে খুরশিদ আলম বলেন, এটা (টিকাকেন্দ্র বদলানো) আগে ছিল, মাঝে কিছু সময়ের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল আমাদেরই সুপারিশে। এখন আবার অনেকেই এ ধরনের সমস্যায় পড়েছেন। তাদের জন্য টিকা কেন্দ্র পরিবর্তনের সুযোগ দেওয়া হবে কিনা সে বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর ভাববে।
টিকার কেন্দ্র বদলানোর পক্ষে আমরা ছিলাম না জানিয়ে তিনি বলেন, কেন্দ্র বদলাতে গেলে কিছু অসাধুতার ব্যাপার চলে আসে। পাসওয়ার্ডটা যাদের কাছে থাকে তারা তারা যদি এটার অপব্যবহার করে—সে আশঙ্কা থাকে। সেজন্য টিকাকেন্দ্র বদলানো এনকারেজ করিনি। কিন্তু পরবর্তীতে যখন দেখা গেলো, আসলে সবসময় সবার পক্ষে একই কেন্দ্রে টিকা নেওয়া সম্ভব না তখন আমরা আইসিটি মন্ত্রণালয়কে কেন্দ্র পরিবর্তন করার অনুমতি বা সুযোগ আমরা নিলাম। এখন আমরা আইসিটি বিভাগের সঙ্গে আবার কথা বলবো, টিকা টিমের সঙ্গে বসবো।
অনেকেই শুরুর দিকে নিজের মোবাইল থেকে টিকার জন্য নিবন্ধন করেনি। হয়তো দোকান থেকে বা অন্যের মোবাইল থেকে করেছে। তাদের এখন নিজের মোবাইলে ফিরে আসার সুযোগ দেওয়া হবে কিনা প্রশ্নে তিনি বলেন, এটা অবশ্যই দিতে হবে। দেখা যাচ্ছে, টিকার জন্য অপেক্ষমাণদের তালিকাটা অনেক বড়। কিন্তু যখন ঢালাওভাবে টিকার জন্য এসএমএস দেওয়া হচ্ছে তখন দেখা যাচ্ছে অনেকেই রেসপন্ড করছেন না। সেটার কারণ হিসেবে অনুসন্ধান করতে গিয়ে দেখা গেছে, সেই নিবন্ধনগুলো হয় দোকান থেকে করা হয়েছিল অথবা অন্য কারও ফোন থেকে করা হয়েছিল। যার ফলে আমরা সেই জনসংখ্যাটাকে পাচ্ছি না। কিন্তু আমাদের ডাটাবেজে দেখা যাচ্ছে, একটা বড় জনগোষ্ঠী টিকার জন্য অপেক্ষমাণ। সেই মানুষগুলোকে আমরা রিচ করতে পারছি না।
তাদের জন্য আবার নতুন করে ভাবতে হবে, তাদের টিকার আওতায় আনতে হবে। সেজন্যও আমরা উপায় খুঁজে বের করবো-জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক।
Discussion about this post