হার্টবিট ডেস্ক
বুস্টার ডোজ প্রদানে টিকার কোনো ঘাটতি হবে না জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, সরকারের ৩১ কোটি ডোজ করোনা ভ্যাকসিন হাতে পাওয়ার ব্যবস্থা করেছে। এ অবস্থায় আগামী মাস থেকে সারাদেশে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
আজ বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানির (ইডিসিএল) আয়োজিত বার্ষিক জেনারেল মিটিং ও বোর্ড সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যেই ৩১ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন জোগানের ব্যবস্থা করেছি। এই ভ্যাকসিন থেকে প্রতি মাসেই প্রয়োজনীয় পরিমানে ভ্যাকসিন আমাদের হাতে চলে আসছে। এরই মধ্যে সাত কোটি প্রথম ডোজ, পাঁচ কোটি ডাবল ডোজসহ মোট ১২ কোটি ডোজ টিকা সাধারণ মনুষকে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য পুরণ করতে বুস্টার ডোজসহ মোট ২৮ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন প্রয়োজন হবে। সেক্ষেত্রে সরকারের ৩১ ডোজ ভ্যাক্সিন হাতে পাওয়ার সংস্থান করা গেছে। কাজেই বুস্টার ডোজসহ আমাদের লক্ষ্যমাত্রা পুরণে ২৮ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন লাগলেও আমাদের হাতে আরও তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিন হাতে থাকবে।’
টিকা কার্যক্রমের লক্ষ্য ও সফলতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ করোনা মোকাবিলায় বিশ্ববাসীর প্রশংসা পেয়েছে। সাউথইস্ট এশিয়াতে করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশ প্রথম হয়েছে। ব্লুমবার্গও প্রশংসা করেছে। ১২০টি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন করা হয়েছে। ফিল্ড হাসপাতাল করা হয়েছে। হাসপাতাল বেড বাড়ানো হয়েছে। দেশে সফলভাবে টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে আমরা স্কুল পর্যায়সহ বস্তিতে গিয়েও ভ্যাকসিন দিয়েছি। আগামী মাস থেকে প্রতি মাসে আমরা অন্তত চার কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু করছি। এরই অংশ হিসেবে আগামী মাস থেকেই আমরা দেশের প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ভ্যাকসিন দেওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছি। এতে করে আশা করা যায়, আগামী মে-জুনের মধ্যেই আমারা লক্ষ্যমাত্রা পুরণে সক্ষম হব।’
অমিক্রনের বিষয়ে সাবধান করে মন্ত্রী বলেন, ‘সামনে অমিক্রনে আবার চাপ বাড়তে পারে। সেক্ষেত্রে শুধু ভ্যাকসিন অমিক্রণ ঠেকাবে না। আমাদের স্বাস্থ্যবিধি যথার্থ নিয়মে মানতে হবে। তাহলেই অমিক্রণ ছড়াবে না। এসময় অমিক্রন মোকাবিলায় সবাইকে মুখে মাস্ক পড়ারও আহ্বান জানান জাহিদ মালেক।
ইডিসিএলের কার্যক্রম বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে ইডিসিএলের নানারকম ওষুধের উৎপাদন চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। দেশের পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে নানারকম ওষুধের উৎপাদনের চাহিদাও পাচ্ছে ইডিসিএল। কিন্তু সে তুলনায় ইডিসিএল স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। অবকাঠামো দুর্বলতা, যন্ত্রপাতির ঘাটতি, ফ্যাক্টরির জায়গা স্বল্পতাসহ এখানে নানারকম সমস্যা রয়েছে। এজন্য ইডিসিএল এর জন্য একটি অত্যাধুনিক মানের কারখানা নির্মানের বিল এখন একনেকে রয়েছে। এটি দ্রুতই সম্পন্ন হয়ে যাবে। এসব উদ্যোগ বাস্তবায় হলে ইডিসিএল আরও বেশি শক্তিশালী হবে।’
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ,পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু, ডিজিডিএ এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।
Discussion about this post