হার্টবিট ডেস্ক
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ভেনম রিসার্চ সেন্টার পরিদর্শন করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নন কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রাম এর লাইন ডাইরেক্টর অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ রোবেদ আমিন। এ সময় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সাহেনা আক্তার তাকে স্বাগত জানান।
মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ভেনম রিসার্চ সেন্টার পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে তিনি ভেনম রিসার্চ সেন্টারের গবেষণাগার, সারপেটারিয়াম (সাপ পালনের কক্ষ), কোয়ারেন্টাইন কক্ষ এবং ইঁদুর প্রজনন কক্ষ ঘুরে দেখেন।
ভেনম রিচার্স সেন্টারের গবেষক মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. আবদুস সাত্তার, সহকারী অধ্যাপক ডা. আবদুল্লাহ আবু সাঈদ সেন্টারের এন্টিভেনম তৈরির প্রক্রিয়া ও অন্যান্য বৈজ্ঞানিক গবেষণাসমূহ ব্যাখ্যা করেন।
পরিদর্শনকালে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ও বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. মোহাম্মদ হাফিজুল ইসলাম, শিশু হেমাটোলজি ও অনকোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. এ কে এম রেজাউল করিম, ডার্মাটোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. অজয় কুমার ঘোষ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এনসিডিসি প্রোগ্রাম ম্যানেজার -১ ডা. আব্দুল আলিম এবং ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার-৫ ডা. নুসায়ের চৌধুরী প্রমুখ ।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের পুরাতন একাডেমিক ভবনের নিচতলায় ২০১৮ সালে স্থাপিত ভেনম রিসার্চ সেন্টারটি বাংলাদেশে বিষধর সাপসমূহের বিষের বিরুদ্ধে এন্টিভেনম তৈরির উদ্দেশ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নন-কমিউনিকেবল ডিসিজ কন্ট্রোলের (এনসিডিসি) একটি বৈজ্ঞানিক প্রকল্প।
এ প্রকল্পের অধীন, নোসেলেট কোবরা, বিনোসেলেট কোবরা, বানডেড ক্রাইট, ডব্লিউএলপি ভাইপার, এসটিপি ভাইপার, রাসেল’স ভাইপার, জি ব্ল্যাক ক্রাইট, কমন ক্রাইট, লাল গলার কিলব্ল্যাক নামে বিষধর সাপ লালন পালন করা হচ্ছে।
৭ প্রজাতির ১৩৭টি সাপকে খাবার হিসেবে ইঁদুর, মুরগির মাংস এবং সাপ দেওয়া হয়। ওই কক্ষে কাচঘেরা জায়গায় ইঁদুর পালন করা হচ্ছে। এ সময় সাপ ও সাপের বিষ সংগ্রহ প্রক্রিয়া সম্পর্কে অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ রোবেদ আমিনকে অবহিত করা হয়।
Discussion about this post