হার্টবিট ডেস্ক
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ এফআরসিএস ডিগ্রি অর্জন করেছেন। যুক্তরাজ্যের রয়্যাল কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স ও সার্জন্স অব গ্লাসগো তাকে এ সম্মান সূচক ডিগ্রি প্রদান করেছে।
আজ রোববার (২৬ ডিসেম্বর) বিএসএমএমইউর জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার মজুমদার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানোনো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চক্ষু বিশেষজ্ঞ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ চক্ষু রোগের চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। পাশাপাশি অন্ধত্ব দূরীকরণ এবং চক্ষু রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনা সৃষ্টিতে তাঁর বিরাট ভূমিকা রয়েছে। চিকিৎসাসেবার পাশাপাশি তিনি একজন দক্ষ সংগঠক ও সুদক্ষ প্রশাসক।
এদিকে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ এফআরসিএস ডিগ্রি লাভ করায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও অফিসের পক্ষ থেকে উপাচার্যকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে অধ্যাপক শারফুদ্দিনের বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের তথ্য তুলে ধরে বলা হয়, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. শারফুদ্দিন চক্ষু রোগের চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। পাশাপাশি অন্ধত্ব দূরীকরণ এবং চক্ষু রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনা সৃষ্টিতে তাঁর বিরাট ভূমিকা রয়েছে। চিকিৎসাসেবার পাশাপাশি তিনি একজন দক্ষ সংগঠক ও সুদক্ষ প্রশাসক।
এতে আরও বলা হয়, চোখের রোগসমূহের চিকিৎসা, প্রতিরোধসহ কমিউনিটি অফথালমোলজিতে অসামান্য অবদান রাখা অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ গত ২৯ মার্চ ২০২১ তারিখে বিএসএমএমইউ উপাচার্য হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব হিসেবে এবং একই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন), প্রিভেনটিভ অ্যান্ড সোস্যাল মেডিসিন অনুষদের ডিন এবং কমিউিনিটি অফথালমোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি দীর্ঘদিন বিশ্ববিদ্যালয়টির সিন্ডিকেট সদস্য ও একাডেমিক কাউন্সিলের দায়িত্বে ছিলেন।
এছাড়াও তিনি বিএসএমএমইউর স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং অফথালমোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশের পরপর তিনবার নির্বাচিত সভাপতি। বর্তমানে তিনি কেন্দ্রীয় স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের ইসি সদস্য।
অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদের শতাধিক বিএমডিসি স্বীকৃত জাতীয় ও আন্তর্জতিক প্রকাশনা রয়েছে। বাংলায় চক্ষু বিষয়ক তিনটি ও ইংরেজিতে দুইটি বই রয়েছে। তিনি গ্রামেগঞ্জে কমিউনিটি চক্ষু শিবিরে প্রায় একলাখ চোখের অস্ত্রোপচার করেছেন। তিনি বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকার একজন স্বনামধন্য কলামিস্ট। একইসঙ্গে তিনি চক্ষু বিষয়ক বিভিন্ন টিভি ও রেডিও টকশোর আলোচনায় অংশগ্রহণ করে থাকেন এবং পেশাগত বিভিন্ন সংস্থার সাংগঠনিক ও একাডেমিক কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।
এই স্বনামধন্য চিকিৎসকের বিভিন্ন সম্মাননা প্রাপ্তির তথ্য তুলে ধরে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অধ্যাপক শারফুদ্দিন তাঁর অনন্য অবদানের জন্য দেশি ও আন্তর্জাতিক সম্মাননা পেয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে বিশিষ্ট পরিসেবা পুরস্কার (২৭তম এপিএও কংগ্রেসে উপস্থাপিত, বুশান ২০১২), অন্ধত্ব প্রতিরোধ সম্মাননা (এপিএও এশিয়া প্যাসিফিক একাডেমি অব অফথালমোলচি ২০১৬), নেপালের পোখারেল ভেস্কটস্বামী পাড়া রাজাসাগরাম (পিভিপি), কমিউনিটি চক্ষুবিদ্যায় অসাধারণ কাজের জন্য পুরস্কার (এসএও) ২০১৮, স্বর্ণ পুরস্কার সিসিসি কলকাতা ২০১৯, এআইওসি অ্যাওয়ার্ড গুরুগ্রাম ২০২০ উল্লেখযোগ্য।
তিনি ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে বড় দুই মুক্তিযোদ্ধা ভাইয়ের সঙ্গে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
Discussion about this post