হার্টবিট ডেস্ক
ঝালকাঠিতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়ে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ১৭ জনের কেউই শঙ্কামুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক অধ্যাপক ডা. সামন্তলাল সেন। আজ শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে দগ্ধ চিকিৎসা বিষয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এমন তথ্য জানান তিনি।
ব্রিফিংয়ে ডা. সামন্তলাল সেন বলেন, ‘ঝালকাঠিতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধদের ২০ জনকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আনা হয়। তাদের মধ্যে আজ শুক্রবার হাবিব খান (৪৫) নামে একজন মারা গেছেন, একজন চিকিৎসা নিয়ে ফিরে গেছেন। বর্তমানে ১৭ জনের চিকিৎসা চলছে। তাদের মধ্যে দুজন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ)। ভর্তি হওয়ার প্রত্যেকের শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। আইসিইউতে থাকা একজনের শরীরের ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি, লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হওয়া আরও ৩২ জন রোগী বরিশালে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। সেখানে তিনজন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ)। তাদের সেখানেই রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’
এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. সামন্তলাল বলেন, ‘পুড়ে যাওয়া রোগীদের অবস্থা নিশ্চিত করে বলা যায় না। তারা শঙ্কামুক্ত কি না, তা এত দ্রুত বলা সম্ভব নয়।’
পূর্ণ আন্তরিকতার সঙ্গে তাদের চিকিৎসা চলছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দগ্ধদের নিয়মিত খবর রাখছেন। গতকাল তিনি ফোন করে সার্বিক অবস্থা জানতে চেয়েছেন। আহতদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিতের নির্দেশনা দিয়েছেন।’
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চটিতে আগুন লাগে। ঝালকাঠির গাবখান ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন-সংলগ্ন নদীতে আগুনের ঘটনায় ৩৯ জনের মরদেহ উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশান্ত কুমার দে।
পর দিন দুপুর পৌনে ১টার দিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয় মারজিয়া আক্তার নামে চিকিৎসাধীন এক শিশুর। এ নিয়ে মৃত বেড়ে দাঁড়ায় ৪০।
এদিকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আনার পর হাবিব খান নামে একজনের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১ জনে।
Discussion about this post