হার্টবিট ডেস্ক
করোনা পরিস্থিতির আগেই স্বাস্থ্যকর্মীর সংকট ছিল জার্মানিতে। স্বাস্থ্যসেবা খাতে পদ খালি ছিল প্রায় অর্ধ লক্ষ। করোনার কারণে বাইরে থেকে কর্মী নিতে পারেনি দেশটি। এখন চাহিদা আরও বেড়েছে। একই অবস্থা মালদ্বীপের। যে কারণে অন্য দেশ থেকে স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগের কথা ভাবছে দেশগুলো।
ইতোমধ্যে বাংলাদেশ থেকে নার্স নেওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছে গ্রিস, জার্মানি, আরব আমিরাত, কাতার, কুয়েতও। শ্রমবাজারের নতুন এ সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। আর এজন্য বিএমইটি এবং নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতরের দুজন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়ে কমিটিও করা হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, মালদ্বীপের সঙ্গে স্বাস্থ্যকর্মী পাঠানোর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরে চুক্তি স্বাক্ষর হবে।
প্রধানমন্ত্রীর মালদ্বীপ সফরকালে বুধবার দেশটির সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের একটি চুক্তি হবে, যার আওতায় চিকিৎসক ও নার্স নেবে দেশটি। এমনটা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বাংলাদেশ থেকে অন্যান্য দেশে চাহিদার ভিত্তিতে নার্স পাঠানোর সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতর এবং জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো যৌথভাবে খতিয়ে দেখছে দেশে কত সংখ্যক নার্স আছে বিদেশে পাঠানোর মতো। তালিকা করার কাজও শুরু হয়েছে।
স্বাস্থ্যকর্মী পাঠানোর বিষয়টি দেখভাল করছে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। বিএমইটির অধীনে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোতে (টিটিসি) স্বাস্থ্যকর্মী কিংবা হেলথকেয়ার ওয়ার্কার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেই। তবে এই লক্ষ্যে ট্রেড, কারিকুলামে আমূল পরিবর্তন আনার কথা জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ।
বিএমইটির মহাপরিচালক মো. শহীদুল আলম জানান, আমিরাতের ডিমান্ড আমরা পূরণ করতে চাই। নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতরের সঙ্গে এই বিষয়ে বৈঠক করা হয়েছে। একটা কমিটি গঠন করা হয়েছে। সারা দেশে ৭৬ হাজার নার্স আছে। যার মধ্যে ৫৫ হাজার নার্স ইতোমধ্যে চাকরি করেন। বাকিরা বেশিরভাগই বেসরকারি হাসপাতালে কাজ করছেন। ২০২২ সালে কিছু নার্স পাস করে বের হবেন। তারা পাস করার সঙ্গে সঙ্গেই যাতে বিদেশ যেতে পারেন সেই লক্ষ্যে যৌথভাবে আমরা কাজ করছি। এমনকি যারা শেষ বর্ষে অধ্যয়নরত থাকবে, গ্র্যাজুয়েশনের আগেই তারা যাতে বিএমইটিতে নিবন্ধিত হতে পারে সে জন্য আমরা যারা বিদেশ যেতে ইচ্ছুক তাদের চাকরি প্রত্যাশী হিসেবে তালিকাভুক্ত করবো।
মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন জানান, কুয়েত ইতোমধ্যে বোয়েসেলের মাধ্যমে নার্স নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আমাদের দেশে যদি নার্স পর্যাপ্ত থাকে তবে তারা খুব তাড়াতাড়ি বোয়েসেলের মাধ্যমে কুয়েত যাওয়ার সুযোগ পাবেন।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত নার্সদের নিবন্ধন করার বিষয়ে আলোচনা চলছে। নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতরের সঙ্গে হিসাব করে দেখা হচ্ছে কত নার্স আছে, কতজন যেতে উৎসাহী কিংবা আগামী এক বছর পরে কারা কারা যেতে পারবে। তালিকা করা শুরু হয়েছে, প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
Discussion about this post