হার্টবিট ডেস্ক
‘ব্রেক দ্য ট্যাবু: ক্যান্সার হ্যাজ অ্যান্সার’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশ মেডিকেল স্টুডেন্ট সোসাইটির (বিএমএসএস) স্ট্যান্ডিং কমিটি অব সেক্সুয়াল অ্যান্ড রিপ্রোডাক্টিভ হেলথ রাইটস ইনক্লুডিং এইচআইভি অ্যান্ড এইডস (SCORA) এবং ক্যান্সার অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের উদ্যোগে ক্যান্সার প্রতিরোধী ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত।
মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ (বামেক) অডিটোরিয়ামে ক্যান্সার অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের কর্ণধর ডা. মো. মাসুমুল হকের সভাপতিত্বে এ কর্মশলা অনুষ্ঠিত হয়।
বিএমএসএস সূত্রে জানা যায়, ক্যান্সার প্রতিরোধী এ কর্মশালা ২১ থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। বামেক লোকাল কমিটি ছাড়াও জামালপুরের শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ, গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ লোকাল কমিটির উদ্যোগে কর্মশলা চলছে।
কর্মশালায় এ সংক্রান্ত গবেষণায় তথ্য তুলে ধরে বলা হয়, প্রজনন তন্ত্রের ক্যান্সার বা রিপ্রোডাক্টিভ ক্যান্সারজনিত সমস্যা বর্তমান বাংলাদেশি জনগোষ্ঠীর মধ্যে উর্ধবমুখী। বিশ্বে প্রতি আটজনের একজন প্রজননতন্ত্রের ক্যান্সারে আক্রান্ত। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে প্রজনন স্বাস্থ্যবিধি নারী পুরুষ নির্বিশেষে না মানা, প্রজননতন্ত্রের অসুখকে অবহেলা করা ও এ সম্পর্কে অজ্ঞতা এ ক্যান্সার এর প্রধান কারণ।
কর্মশালায় ডা. মাসুমুল হক প্রজননতন্ত্রের ক্যান্সার, এর কারণ, লক্ষণ, প্রতিরোধ এবং এ সম্পর্কিত ভুল ধারণা ও চিকিৎসা পদ্ধতি তুলে ধরে বলেন, ‘আমরা সকলেই নিজ উদ্যোগে ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারি। এটি শুরু করতে হবে প্রাথমিক পর্যায় বা পরিবার থেকেই। তাহলেই সমাজে ক্যান্সার প্রতিরোধে ভালো প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে সক্ষম হব।’
বিএমএসএসের সেক্রেটারি জেনারেল মাইশা বিনতে মামুন বলেন, ‘প্রজননতন্ত্রের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়ে আমরা অনেকেই অবহেলা করি। অনেকেই আমরা জানি না প্রজননতন্ত্রের ক্যান্সার প্রতিরোধে আমাদের করণীয় কী। আমি আশা করি, এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করে আমরা এ বিষয়ে পরিপূর্ণ ধারণা লাভ করতে পারবো এবং দেশ , সমাজের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অংশ নিতে পারি। নিঃসন্দেহে এটি বিএমএসএসের সময়োপযোগী পদক্ষেপ।’
Discussion about this post