হার্টবিট ডেস্ক
ঢাকায় বুস্টার ডোজের কার্যক্রম শুরু হলেও এখনও চট্টগ্রামের জন্য কোনও নির্দেশনা আসেনি বলে জানিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. ইলিয়াছ চৌধুরী।
তিনি বলেন, বুস্টার ডোজের ব্যাপারে আমাদের কাছে এখনও কোনও নির্দেশনা আসেনি।নির্দেশনা পাওয়া গেলে আমরা কাজ শুরু করতে পারবো। তবে এর আগে আমাদের জানতে হবে, কারা এই টিকার আওতায় আসবে এবং দ্বিতীয় টিকা নেওয়ার কতদিন পর বুস্টার ডোজ নিতে পারবে।
তিনি বলেন, যদি বুস্টার ডোজ হিসেবে ফাইজারের টিকা দেওয়া হয় তাহলে নির্দিষ্ট হাসপাতাল ছাড়া টিকা দেওয়া সম্ভব নয়। এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামের তিনটি কেন্দ্রে ফাইজারের টিকা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু টিকাদান কার্যক্রমে বিশেষ ব্যবস্থা না থাকায় টিকা প্রদান করা অনেক কেন্দ্র এ টিকা নিতে আগ্রহী নয়। তাই বুস্টার ডোজ শুরু করতে হলে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের মাধ্যমেই শুরু করতে হবে। কিন্তু সেখানেও প্রতিদিনই টিকা গ্রহীতাদের দীর্ঘ লাইন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, করোনা ও ওমিক্রন মোকাবিলায় রোববার (১৯ ডিসেম্বর) থেকে দেশে শুরু হচ্ছে বুস্টার ডোজ প্রদান। এজন্য নতুন করে নিবন্ধন করতে হবে না। শুরুতে দেশে যারা বয়স্ক মানুষ রয়েছেন, ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার হিসেবে যেসব ডাক্তার, নার্স, সরকারি কর্মকর্তা এবং সাংবাদিকেরা কাজ করে যাচ্ছেন তাদের বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে। পর্যায়ক্রমে অন্যরাও বুস্টার ডোজ পাবেন।
যারা দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন, সুরক্ষা অ্যাপে সেই তথ্য রয়েছে। টিকাগ্রহীতাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, মোবাইল নম্বর রয়েছে সরকারের কাছে। এক্ষেত্রে যারা বুস্টার ডোজ পাবেন, তাদের কোথায় কবে আসতে হবে, সেটি এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।
Discussion about this post