হার্টবিট ডেস্ক
করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন ঝুঁকি কমাতে দেশে বুস্টার ডোজের কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ড. জাহিদ মালেক। প্রাথমিকভাবে ফাইজারের টিকা দিয়ে বুস্টার ডোজ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
যারা অন্য টিকা নিয়েছেন তারাও ফাইজারের টিকা বুস্টার ডোজ হিসেবে গ্রহণ করতে পারবেন।
রোববার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মহাখালীর বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিসিয়ান্স অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) অডিটোরিয়াম হলে ‘বুস্টার ডোজ প্রদান কার্যক্রম’ উদ্বোধন করেন তিনি।
প্রথম ব্যক্তি হিসেবে বুস্টার ডোজ নিয়েছেন কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু ভেরোনিকা কস্তা। এরপর টিকার বুস্টার ডোজ নেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, মৎস্য ও প্রাণিসম্প মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, আমরা অনেক দেশের আগেই টিকা কার্যক্রম শুরু করতে পেরেছি। আমরা বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে টিকা প্রদান করছি, সাধারণ জনগণ-স্কুলশিক্ষার্থীদের টিকা দিচ্ছি। এছাড়া করোনা মোকাবিলায় সামনের সারির যোদ্ধা ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ বাহিনী, সেনাবাহিনী, সাংবাদিক- সবাইকেই টিকা দিচ্ছি।
তিনি বলেন, টিকার ফলে দেশ নিরাপদে আছে। মৃত্যুর সংখ্যা এক ডিজিটেই আছে। গতকাল এক শতাংশের দিকে এসেছে। যা এত জনবহুল দেশে খুবই বিরল। সবাই সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। প্রত্যেক মানুষকেই যারা প্রাপ্য টিকা দেওয়া হবে।
জাহিদ মালেক বলেন, বুস্টার ডোজ সংক্রান্ত সুরক্ষা অ্যাপের আপডেট কাজ এখনও সম্পন্ন হয়নি। তবে এই মুহূর্তে টিকা কার্ডের মাধ্যমে চলবে। একই সঙ্গে স্বাভাবিক টিকা কার্যক্রমও চলমান থাকবে।
এছাড়া করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা নিয়ে শুরুর দিকে নানান ভয়ভীতির মধ্যেই সাহস করে প্রথম টিকা নিয়েছিলেন কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু ভেরোনিকা কস্তা। চলতি বছর ২৭ জানুয়ারি তাকে দিয়েই শুরু হয় দেশের টিকার কার্যক্রম ।বছরের শেষপ্রান্তে এসে আবার তাকে দিয়েও টিকার বুস্টার ডোজ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
Discussion about this post