হার্টবিট ডেস্ক
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ৫০ বার স্বেচ্ছায় রক্তদান করেছেন—এমন ৫০ জন রক্তদাতাকে সংবর্ধনা দিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে লাখো শহীদের স্মৃতির উদ্দেশে নিবেদিত ব্যতিক্রমী এমন অনুষ্ঠান দেশের ইতিহাসে এই প্রথম।
এর মধ্যে প্রথমবারের মতো একজন নারী রক্তদাতাও রয়েছেন।
শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলে আইডিইবি মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন এ দেশের মানুষ ত্যাগের মাধ্যমেই সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। রক্তদাতারা রক্তদানের মাধ্যমে সেই কাজটিই করে যাচ্ছে। এমন বহু ত্যাগের মাধ্যমেই সোনার বাংলা গড়ে তোলা সম্ভব।
উপস্থিত রক্তদাতাদের কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, রক্তদান নিয়ে মানসিক, শারীরিক ভয়, আতঙ্কসহ সামাজিক যে বাধা ছিল, তা দূর করে দেশের রক্তের চাহিদা পূরণে স্বেচ্ছা রক্তদাতারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন।
দীপু মনি বলেন, স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর উদযাপনের সময় ঠিক ৫০ জন রক্তদাতা কোয়ান্টামে ৫০ বার রক্ত দিয়েছেন, যা আসলে তাদের ভালো কাজেরই প্রতিফলন। কিন্তু তারপরও ১৭ কোটি মানুষের এই দেশে রক্তের চাহিদা এখনও অনেক। এই ঘাটতি পূরণে নতুন রক্তদাতা তৈরিতে স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যালিয়েটিভ মেডিসিন বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. নিজামউদ্দিন আহমদ। রক্তদাতাদের পক্ষে আবেগঘন অনুভূতি ব্যক্ত করেন ৫৬ বার রক্তদানকারী মিজানুর রহমান সজল।
স্বাগত বক্তব্য দেন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের পরিচালক মোটিভেশন এম রেজাউল হাসান। সভাপতিত্ব করেন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের প্রধান সমন্বয়ক মাদাম নাহার আল বোখারী। নিয়মিত রক্তদাতাদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়ে স্বেচ্ছা রক্তদানের মাধ্যমে চাহিদার ঘাটতি মেটানোর আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
Discussion about this post