হার্টবিট ডেস্ক
ভুয়া ডিগ্রি ব্যবহার করে চিকিৎসা সেবা দিলে ৩ লাখ টাকা জরিমানা ও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার বিধান রেখে ‘বাংলাদেশ ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন-২০২১’ এর খসড়া আইনের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
আজ রোববার (১৯ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী তার বাসভবন গণভবন থেকে সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে মন্ত্রীদের এই বৈঠকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ফর মেডিকেল এডুকেশন (ডব্লিউএফএমই) যৌথ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, উন্নত বিশ্বে চিকিৎসা শিক্ষার স্বীকৃতি অর্জন করতে হলে প্রতিটি দেশে একটি অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল মেডিকেল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বীকৃতি দেবে।
“এই অ্যাক্রেডিটেশনটা না থাকলে আমাদের দেশ থেকে কেউ এমবিবিএস পাস করলেও সে বাইরে পড়াশোনা করতে যেতে পারবে না, অন্য কোনো দেশে ডাক্তার হিসাবে স্বীকৃতি পাবে না।”
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ২০২৪ সালের মধ্যে যেসব দেশ স্বাধীন অ্যাক্রেডিটেশন কমিশনের মাধ্যমে চিকিৎসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর স্বীকৃতি দেবে না, ওইসব দেশের চিকিৎসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ডিগ্রিধারী চিকিৎসকরা যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় উচ্চশিক্ষা প্রশিক্ষণ গ্রহণ কিংবা পেশাগত কাজ করার সুযোগ পাবে না।
তিনি বলেন, খসড়া আইনে একটি কাউন্সিল রাখারও বিধান রাখা হয়েছে, যেখানে ২০ জন সদস্য থাকবেন।
দেশের বাইরে মেডিকেলে পড়তে গেলে কিংবা চিকিৎসা সেবা দিতে গেলে অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের অনুমোদন নিতে হবে। এ বিধান যুক্ত করে ‘বাংলাদেশ চিকিৎসা শিক্ষা অ্যাক্রডিটেশন আইন-২০২১’ খসড়ারও নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
Discussion about this post