হার্টবিট ডেস্ক
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বুস্টার ডোজ শুরু হলেও দেশে টিকার কোনো ঘাটতি হবে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
রোববার (১৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর মহাখালীতে বিসিপিএস অডিটরিয়ামে আয়োজিত কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, অনেক দেশ মডার্নার টিকা বুস্টার হিসেবে দিচ্ছে। তবে আমরা ফাইজারকে বেছে নিয়েছি। কারণ আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগ সবকিছুতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশ অনুসরণ করে থাকে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের ৭০ শতাংশ মানুষকে টিকা দিতে প্রয়োজন হবে ২৪ কোটি ডোজ টিকা। এই ৭০ শতাংশ মানুষ অর্থাৎ ১২ কোটি মানুষকে করোনা টিকার দিতে হবে। আগামী এপ্রিল নাগাত দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন হবে। এর জন্য ১৩ কোটি ডোজ টিকা লাগবে।
তিনি বলেন, মাঠ পর্যায় ৪ কোটি ৬৩ লাখ ডোজ টিকা রয়েছে। এই ডিসেম্বরে সম্ভাব্য টিকা প্রাপ্তি হবে ৬ কোটি ৫৫ লাখ ডোজ। ২০২২ সালে প্রথম কোয়াটারের মধ্যে আরও ৯ কোটি ডোজ টিকা পাবো। ৩১ মার্চ নাগাদ দেশে করোনা টিকার মজুদ (ওয়েস্টজসহ) হবে ১৬ কোটি ৮৫ লাখ ডোজ টিকা।
তিনি বলেন, ৭০ শতাংশ মানুষকে টিকা দিতে এপ্রিল পর্যন্ত প্রয়োজন হবে ১৩ কোটি ডোজ টিকা। তখন আমাদের হাতে থাকবে সাড়ে ১৬ কোটির বেশি। কাজেই করোনা টিকার কোনো ঘাটতি থাকবে না।
তিনি বলেন, আগামী ২০২২ সালের জুন নাগাদ ৩ কোটি ৫৯ লাখ বুস্টার ডোজ টিকা লাগবে। এই জানুয়ারি পর্যন্ত হিসাব করলে ৪৩ লাখ ডোজ টিকা লাগবে। আমাদের হাতে এখন আছে ৬০ লাখ বুস্টার ডোজ। আগামী মাসে আমরা আরও দুই কোটি ডোজ ফাইজার টিকা পাবো।
মন্ত্রী বলেন, বুস্টার ডোজ চলার পাশাপাশি সব টিকা দান কর্মসূচি চলবে। শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের টিকা দান কর্মসূচি চলমান থাকবে। কোথাও কোনো কিছু ব্যাহত হবে না।
ওমিক্রন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিশ্বে ৮০টির বেশি দেশে ছড়িয়ে গেছে। ইউকে তে বহু লোক আক্রান্ত হয়ে গেছে। আমরা আমাদের দেশকে নিরাপদ রাখতে চাই। যদি সংক্রামণের হার বেড়ে যায় তবে মৃত্যুর হার বেড়ে যাবে। আপনারা জানেন ষাটোর্ধ্ব মানুষের বেশি মুত্যু হয়। আমাদের দেশে ২৮ হাজার লোক মারা গেছে, এর মধ্যে ৮৫ শতাংশ ষাটোর্ধ্ব। সেই সঙ্গে আমাদের ফ্রন্টলাইন কর্মীদের সুরক্ষিত করতে হবে। আল্লাহ না করুক যদি ওমিক্রন বাংলাদেশে ছড়িয়ে যায়, তবে ডাক্তার-নার্সদের বেশি প্রয়োজন হবে।
করোনা টিকার বুস্টার ডোজ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, পররাষ্ট্র মন্ত্রী, ড. আব্দুল মোমেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নতুন মন্ত্রী শাহ মো. রেজাউল করিম, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম প্রমুখ।
Discussion about this post