হার্টবিট ডেস্ক
করোনা ভাইরাসের চিকিৎসায় তিনটি নতুন ওষুধকে ছাড়পত্র দিয়েছে ইউরোপীয় মেডিসিন এজেন্সি। তবে বাজারে আসতে এখনও ইউরোপীয় কমিশনের ছাড়পত্রের অপেক্ষায় এ ওষুধগুলো।
জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের খবরে বলা হয়, বৃহস্পতিবার কোভিড চিকিৎসায় আশার কথা শুনিয়েছে ইউরোপীয় মেডিসিন এজেন্সি (ইএমএ)। তারা জানিয়েছে, দুটি নতুন ওষুধ কোভিডের সাধারণ চিকিৎসায় ব্যবহার করা যেতে পারে। একটি ওষুধ কেবলমাত্র অতি জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহার করা যেতে পারে।
প্রথম ওষুধটির নাম জেভুডি। যুক্তরাজ্যের ওষুধ প্রস্তুতকারক গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন এবং মার্কিন সংস্থা বির বায়োটেকনোলজি যৌথ উদ্যোগে এ ওষুধ তৈরি হয়েছে।
বৈজ্ঞানিক ভাষায় ওষুধটি মোনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি মেডিসিন। ইএমএ জানিয়েছে, এ ওষুধ ব্যবহার করলে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন অনেকটাই কমানো যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
গবেষণাগারে তৈরি প্রোটিনজাত এই ওষুধ প্রথম কোভিডের চিকিৎসার জন্য তৈরি হয়নি। এর আগে ইএমএ এ ধরনের আরও দুটি ওষুধকে ছাড়পত্র দিয়েছিল।
দ্বিতীয় ওষুধটির নাম কিনারেট। সুইডেনের ফার্মা কোম্পানি বায়োভিটরাম তৈরি করেছে এ ওষুধ। শ্বাসনালীর জন্য তৈরি হয়েছে এ ওষুধ। কোভিড ভাইরাস শ্বাসনালীর মধ্য দিয়ে গিয়ে ফুসফুসে বাসা বাঁধে। সে কথা মাথায় রেখেই শ্বাসনালীকে ভাইরাসমুক্ত রাখার জন্য তৈরি এ ওষুধ কোভিডের চিকিৎসায় যথেষ্ট কার্যকরী বলে মনে করছে ইএমএ।
তৃতীয় ওষুধটি তৈরি করেছে ফাইজার। এ ওষুধ নিয়ে এখনো গবেষণা চলছে। তবে ইএমএ জানিয়েছে, জরুরি ভিত্তিতে এ ওষুধটি দেয়া যেতে পারে। তবে ছোটদের জন্য এই ওষুধ নয়। যাদের অক্সিজেন সাপোর্ট দিতে হচ্ছে না কেবল তাদেরই এই ওষুধ দেয়া যাবে। ওষুধের নাম প্যাক্সলোভিড। কোভিডের লক্ষ্যণ দেখা দেয়ার পাঁচ দিনের মধ্যে এ ওষুধের ব্যবহার শুরু করে দিতে হবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সংস্থা ইউরোপীয় মেডিসিন এজেন্সি। তারা ছাড়পত্র দেয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে ইউরোপীয় কমিশনকে ছাড়পত্র দিতে হবে। তারপরই বাজারে আসবে তিনটি নতুন ওষুধ।
ওমিক্রন নিয়ে ব্যতিব্যস্ত ইউরোপ। ফ্রান্স যুক্তরাজ্য থেকে সে দেশে ঢোকার ব্যাপারে কড়াকড়ি শুরু করেছে। জার্মানিসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কোভিডের চতুর্থ ঢেউ চলছে। এ পরিস্থিতিতে তিনটি নতুন ওষুধ মানুষের মনে আশার সঞ্চার করেছে।
Discussion about this post