হার্টবিট ডেস্ক
দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হওয়া করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট অমিক্রন ডেল্টা বা মূল ভাইরাসের চেয়ে ৭০ গুণ বেশি দ্রুত গতিতে মানুষকে সংক্রমিত করতে পারে। বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) ইউনিভার্সিটি অব হংকংয়ের একটি গবেষণার বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ এমন তথ্য দিয়েছে।
তবে ভারতে প্রথম শনাক্ত হওয়া ডেল্টা ধরনের চেয়ে অমিক্রন কম গুরুতর অসুস্থতা সৃষ্টি করে বলে জানিয়েছে ইউনিভার্সিটি অব হংকং।
বিবৃতিতে হংকংয়ের ওই বিশ্ববিদ্যালয়টি জানায়, সংক্রমণের ২৪ ঘণ্টা পরে মানব ব্রঙ্কাসে অমিক্রনের বিস্তারের সুপারচার্জড গতি পাওয়া গেছে। মাইকেল চ্যান চি-ওয়াইয়ের নেতৃত্বে পরিচালিত ইউনিভার্সিটি অব হংকংয়ের একদল গবেষক এই গবেষণায় অংশ নেন।
গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষের ফুসফুসের টিস্যুতে সংক্রমণের মাধ্যমে মূল করোনাভাইরাস যে ধরনের গুরুতর ক্ষতি করতে পারে, অমিক্রন ধরন গুরুতর অসুস্থতার আশঙ্কা তার চেয়ে ‘১০ গুণেরও অধিক’ কম।
এতে আরও বলা হয়েছে, একজনের কাছ থেকে অন্যজন সহজে সংক্রমিত হলেও অমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট আক্রান্ত ব্যক্তির ফুসফুসের ততটা ক্ষতি করে না, যতটা ভাইরাসের পূর্ববর্তী স্ট্রেনগুলো করতে পারে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হওয়ার পর গত তিন সপ্তাহের বেশি সময় অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বিশ্বের ৭৭টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে অমিক্রন।
সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞরা জানান, ভাইরাসের এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তদের কেবল হালকা উপসর্গ দেখা দিচ্ছে এবং তাদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন পড়ছে না।
দক্ষিণ আফ্রিকার গবেষকরা জানান, অমিক্রন সুপার-স্প্রেডার, দ্রুতগতিতে ছড়াতে পারে। তবে এর গুরুতর অসুস্থতা সৃষ্টির ক্ষমতা ভাইরাসের ডেল্টা ধরনের চেয়ে অনেক কম। অমিক্রনের কারণে কোনো জটিল রোগও হতে দেখা যায়নি।
ইউনিভার্সিটি অব হংকংয়ের গবেষণায়ও একই রকম তথ্য উঠে এসেছে।
এছাড়া ডেল্টার চেয়ে ওমিক্রনে সংক্রমণের উপসর্গও কিছুটা আলাদা। অমিক্রনে সংক্রমিতদের সাধারণ কিছু উপসর্গ হচ্ছে- প্রচণ্ড মাথা ব্যথা, হাত-পাসহ শরীর ব্যথা, গলা ব্যথা, ক্লান্তি ও গলা শুকিয়ে যাওয়া। এছাড়া অমিক্রনে আক্রান্ত হলে পালস রেট এবং শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যেতে পারে। এর পাশাপাশি সংক্রমণ বেশি হলে প্রচন্ড ক্লান্তি, শরীর ব্যথা ও মাথা ব্যথা শুরু হচ্ছে।
Discussion about this post