হার্টবিট ডেস্ক
ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীকে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টার মধ্যে চিকিৎসা দেওয়া গেলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সুস্থ হয়ে হেঁটে বাসায় ফিরতে পারেন। কিন্তু অনেকেই ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীকে হার্ট অ্যাটাক তথা হৃদ্রোগ ভেবে সময় নষ্ট করেন, যা রোগীর জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
দেখা যায়, উপসর্গ বুঝতে সমস্যা হওয়ার কারণে কিংবা জানা-শোনার অভাবের কারণে স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীকে অনেক সময় হৃদরোগের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এতে মূল্যবান সময় নষ্ট হওয়ায় স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীর সুস্থ হওয়ার সম্ভবনা কমে কিংবা সুস্থ হতে দীর্ঘ সময় লাগে।
হার্ট অ্যাটাক যেভাবে বুঝবেন
বয়স সাধারণত ৪০ এর অধিক হয়ে থাকে। আগে থেকে তার হাই ব্লাড প্রেশার ছিল কিংবা অন্য কোনো হৃদরোগ ছিল। হঠাৎ খাবারের পর কিংবা কোনো জার্নি করার পর কিংবা হাঁটাহাঁটি বা ভারী কোনো কাজকর্ম করার পর অথবা কারো সঙ্গে চিৎকার করে কথা বলার পর কিংবা কোনো দুঃশ্চিতার সময় বুকের বাম পাশে চাপচাপ ব্যথা শুরু হয়। মন হবে বুক জ্যাম হয়ে যাচ্ছে। ব্যথা পর্যায়ক্রমে বাড়তেই থাকবে, ব্যথা পেটের দিকে, পিঠের দিকে, বাম বাহুর দিকে ও ঘাড়ের দিকে ছড়িয়ে পড়বে। ব্যথার তীব্রতায় রোগী দাঁড়ানো থেকে বুক ধরে বসে যাবে কিংবা শুয়ে পড়বে, কপালে-মুখে ঘাম দেখা দেবে।
বমিবমি ভাব অথবা বমি হয়ে যাবে। ব্যাথা কমবে না, বাড়তেই থাকবে। সাধারণত ইস্কেমিক হার্ট ডিজিজের ব্যথায় রোগী পেছনে কিছুতে হেলান দিয়ে বসলে ব্যথা কমে যায়। তবে হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রে ব্যথার তীব্রতা বাড়বে, ব্যথা কমবে না। তীব্র হার্ট অ্যাটাক হয়ে থাকলে, সঠিক সময় চিকিৎসা করাতে না পারলে রোগী মারা যেতে পারে।
স্ট্রোকে আক্রান্ত যেভাবে বুঝবেন
কোনো কারণে মস্তিষ্কের রক্তবাহী ধমনীর পথ সংকীর্ণ হয়ে বা বাধাপ্রাপ্ত হয়ে রক্ত চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেলে মস্তিষ্কের কোষ অক্সিজেনের অভাবে নিস্তেজ হয়ে যায়। এটাই স্ট্রোক।
দুই কারণে স্ট্রোক হয়ে থাকে। এক. মস্তিষ্কের রক্তনালীতে রক্তক্ষরণ। দুই. মস্তিষ্কের রক্তনালী বন্ধ হয়ে যাওয়া। মস্তিষ্কের রক্তনালী বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে ৮০ শতাংশ স্ট্রোক হয়ে থাকে।
স্ট্রোক চিনতে তিনটি বিষয় খেয়াল করতে হবে। এক. মুখ একদিকে ঝুলে পড়া। দুই. হাত একদিকে ঝুলে পড়া। তিন. কথা জড়িয়ে যাওয়া।
স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীকে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টার মধ্যে চিকিৎসা দেওয়া গেলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তারা সুস্থ হয়ে যান।
Discussion about this post