হার্টবিট ডেস্ক
জন্ম থেকেই তারা ছিল অন্ধ। অস্ত্রোপচারে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে দৃষ্টিশক্তি। পৃথিবীর আলো দেখলো তারা, সঙ্গে দেখলো মা-বাবা, চিকিৎসক ও পাশে থাকা স্বজনদের।
চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতালে অরবিসের সহযোগিতায় সম্প্রতি এই শিশুদের অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। দুই দফায় রোহিঙ্গা ও কক্সবাজারের স্থানীয় ১৯ জন শিশুর সফল অস্ত্রোপচারের পর সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) খুলে দেওয়া হয় চোখের বাঁধন।
হাসপাতালে তাদের ওষুধসহ যাবতীয় সেবা দেওয়া হয়। সন্তান স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাওয়ায় খুশি এই শিশুদের জন্মদাত্রীরা।
এর আগে ৫ ডিসেম্বর রোহিঙ্গা পুরুষ ৪ জন, মহিলা ৪ জন ও স্থানীয় ১ জন পুরুষ, ১ জন মহিলা শিশু এবং ১২ ডিসেম্বর রোহিঙ্গা ৬ জন পুরুষ, ১ জন মহিলা ও স্থানীয় ১ জন পুরুষ, ১ জন মহিলা শিশুসহ দুইদিনে মোট ১৯ জন শিশুর অস্ত্রোপচার করা হয়।
অস্ত্রোপচার করেন ডা. মেরাজুল ইসলাম। সহযোগিতা করেন কক্সবাজার বায়তুশ শরফ হাসপাতালের ম্যানেজার (প্রোগ্রাম অ্যান্ড অপারেশন) শহীদ উদ্দিন মাহমুদ, এমআইএস এমএইচএম অহিদুর রহমান, অপটোমেট্রিস্ট আব্দুল আউয়াল শাহ, ফিল্ড ফেসিলিটেটর জামিল উদ্দিন বাপ্পী।
আই কেয়ার সার্ভিস ফর দ্যা চিলড্রেন অব উখিয়া অ্যান্ড টেকনাফ ইন কক্সবাজার ডিস্ট্রিক প্রকল্পের আওতায় আন্ড্রেরী হিলফি এর সহায়তায় এবং অরবিস ইন্টারন্যাশনালের সহযোগিতায় অস্ত্রোপচারে টেকনিক্যাল সাপোর্ট দেয় চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল।
এর আগে চক্ষু চিকিৎসার জন্য অরবিস পরিচালিত বিভিন্ন ক্যাম্পে অবস্থানরত রোহিঙ্গা শিশুদের এবং নিয়মিত স্কুল সাইট টেস্টিং প্রোগ্রামের মাধ্যমে স্থানীয় শিশুদের চোখ পরীক্ষার মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা প্রদানের জন্য কক্সবাজার বায়তুশ শরফ হাসপাতালে এবং অস্ত্রোপচারের জন্য চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতালে পাঠানো হয়।
অস্ত্রোপচারের পর একজন অভিভাবক বলেন, এতদিন সন্তানের দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাওয়া নিয়ে যে দুশ্চিন্তায় ছিলাম তা কেটে গেছে। আমরা অরবিসসহ সবার কাছে কৃতজ্ঞ, যারা আমাদের সন্তানদের চোখের চিকিৎসার সম্পূর্ণ খরচ বহন করেছে।
Discussion about this post