হার্টবিট ডেস্ক
ফাইজার-বায়োএনটেকের তিন ডোজ করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনকে নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম হয়েছে। এক বিবৃতিতে টিকা নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, গবেষণাগারে পরীক্ষায় এই সফলতা পাওয়া গেছে। প্রয়োজন হলে ২০২২ সালের মার্চ মাসে ওমিক্রনভিত্তিক টিকা সরবরাহ করতে পারবে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ওমিক্রনের বিরুদ্ধে টিকার কার্যকারিতা নিয়ে ফাইজার-বায়োএনটেকের পক্ষ থেকে এটিই প্রথম আনুষ্ঠানিক বিবৃতি। এতে বলা হয়েছে, তাদের টিকার দুটি ডোজে কম নিউট্রালাইজিং অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। কিন্তু তৃতীয় ডোজের পর অ্যান্টিবডির মাত্রা বাড়ে।
ফাইজার প্রধান আলবার্ট বৌরলা বিবৃতিতে বলেছেন, যত বেশি সম্ভব মানুষকে প্রথম দুটি ডোজ ও বুস্টার ডোজ প্রদান করাই করোনার বিস্তার ঠেকানোর সবচেয়ে ভালো পরিকল্পনা।
খবরে বলা হয়েছে, এক মাস আগে বুস্টার ডোজ নেওয়া মানুষের রক্তের নমুনা পরীক্ষায় দেখা গেছে এটি ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টকে নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম। যেমনটি চীনে শনাক্ত হওয়া করোনার মূল ধরনের বিরুদ্ধে কার্যকর ছিল দুটি ডোজ।
ফাইজার এই দাবি করলেও টিকাটির তৃতীয় বা বুস্টার ডোজের প্রয়োজনীয়তা এখনও অস্পষ্ট বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, তারা ওমিক্রনকে টার্গেট করে একটি টিকা বাজারে আনতে কাজ চালিয়ে যাবে।
মঙ্গলবার দক্ষিণ আফ্রিকার আফ্রিকা হেলথ রিসার্চ ইন্সটিটিউট-এর গবেষণাগারের গবেষণা প্রধান জানিয়েছেন, তাদের পরিচালিত গবেষণাগারের পরীক্ষায় দেখা গেছে, করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন ফাইজার-বায়োএনটেকের কোভিড-১৯ টিকার আংশিক সুরক্ষা ভেদ করতে পারে। এছাড়া দুই ডোজ টিকা নেওয়া এবং আগে আক্রান্ত মানুষের রক্ত এই ভ্যারিয়েন্টকে নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম হয়েছে। যার অর্থ হলো, বুস্টার ডোজ ওমিক্রনের সংক্রমণ ঠেকাতে সহযোগিতা করবে।
তবে জার্মানির ইউনিভার্সিটি হসপিটাল অব ফ্রাঙ্কফুর্টের এক গবেষণা পর্যালোচনাতে উঠে এসেছে যে, তিন ডোজ নেওয়ার পরও ওমিক্রনের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডির মাত্রা কমেছে।
Discussion about this post