হার্টবিট ডেস্ক
মহানগর এলাকায় ৬২ হাজার ৯৬০ জনকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক)।
আগামী ১১ ডিসেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত চার দিনব্যাপী এই জাতীয় ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন চলবে।
ক্যাম্পেইন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে নগর ভবনে সংবাদ সম্মেলন করে সিটি করপোরেশন। এতে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের মূল বক্তব্য তুলে ধরেন রাসিকের প্যানেল মেয়র-১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শরিফুল ইসলাম বাবু।
এতে জানানো হয়, রাজশাহী মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পের মাধ্যমে ৬-১১ মাস বয়সী সকল শিশুকে একটি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (এক লাখ আই.ইউ) ৭ হাজার ৯৬৭ জন শিশুকে এবং ১২-৫৯ (দুই লাখ আই.ইউ) মাস বয়সী ৫৪ হাজার ৯৯৩ জন শিশুকে একটি লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
এতে আরও বলা হয়, কোনো পার্শপ্রতিক্রয়া না থাকলেও শিশুকে যেন খালি পেটে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়াতে নিয়ে না যাওয়া হয়। ভরা পেটে কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আগামী প্রজন্মকে সুস্থ ও সবল রাখতে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের কোনো বিকল্প নেই। ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল শিশুর জন্য নিরাপদ। শিশুর অন্ধত্ব থেকে রক্ষা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিসহ শিশুর মৃত্যু ঝুঁকি কমাতে ভিটামিন ‘এ’ অপরিহার্য। কোনো শিশু যেন ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানোর সরকারি এ কার্যক্রম থেকে বাদ না পড়ে, সিটি করপোরেশন সেই উদ্দেশ্যে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে মহানগর এলাকায় জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন কার্যক্রম বিষয়ে সার্বিক চিত্র উপস্থাপন করেন রাসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এফএএম আঞ্জুমান আরা বেগম। তিনি বলেন, রাজশাহী মহানগরীতে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের দ্বিতীয় রাউন্ড সুষ্ঠু ও সফলভাবে বাস্তবায়নে ৩৮৪টি কেন্দ্রে ৭৬৮জন স্বেচ্ছাসেবী নিয়োজিত থাকবে। প্রতিটি কেন্দ্র সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা রাখা হবে। মহানগর এলাকায় মাইকিং, মসজিদে জুম্মার নামাজের পূর্বে মসজিদের ইমাম-খতিবের মাধ্যমে মুসল্লিদের অবহিতকরণ এবং অন্যান্য উপাসনালয়ের মাধ্যমেও একই বার্তা পাঠানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে রাসিকের ভ্যাটেরিনারি সার্জন ডা. মো. ফরহাদ উদ্দিন, ফুড অ্যান্ড স্যানিটেশন কর্মকর্তা আরিফুল হক উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post